ঈদের দিনটা আমরা প্রিয়জনের সঙ্গে কাটাতে পছন্দ করলেও অনেকেই জীবিকার টানে বা উচ্চশিক্ষার জন্য প্রিয়জন থেকে হাজার মাইল দূরে থাকেন।
Published : 20 Jul 2015, 01:28 PM
ঈদ উৎসবটা তাদের কাছে পানসে বলেই জানান কয়েকজন প্রবাসী বাঙালি।
২০০৯ সাল থেকে আমেরিকায় থাকেন শেখ মিনহাজ হোসেন।
গত বছরের ঈদুল ফিতরে দেশে আসলেও ব্যস্ততায় এবার তাকে আমেরিকাতেই ঈদ করতে হয়েছে।
তিনি জানান, দেশের বাইরে থাকায় এখন আর ঈদের আগের রাতে ঢাকায় ঘুরে বেড়াতে পারেন না। সব আত্মীয়-স্বজন ও সমাজের সবাই মিলে দেশের ঈদে তো অন্যরকম আনন্দ হয়। এটা 'মিস' করার মতোই একটা ব্যাপার।
এছাড়া ঈদের আগে দেশে যে উৎসব উৎসব পরিবেশ তৈরি হয় সেটার কথা খুব মনে পড়ে তার।
লেখাপড়ার জন্য ইংল্যান্ডে থাকেন নাজমুস সাকিব শাফি। এবারই প্রথম দেশের বাইরে ঈদ করা তার। তাই খারাপ লাগাটাও অনেক বেশি বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, ঈদের আগের রাতে দেশের ঈদের কথা ভাবতে ভাবতেই সময় পার করে দিয়েছেন। আর এখানে কোলাকুলি করার মানুষই তেমন পাননি। ঈদের নামাজ শেষে পাঁচ জনের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে।
তিনি বলেন,"ইংল্যান্ডের ঈদ আর আমাদের দেশের ঈদের মধ্যে রাত-দিন পার্থক্য। ইংল্যান্ডের ঈদ ঘরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।"
ফোনে দেশে থাকা আপনজনদের সঙ্গে কথা হলেও বেশ খারাপ লেগেছে বলে জানান তিনি।
জীবিকার টানে প্রায় বেশ কয়েক বছর ধরেই কানাডায় থাকেন শফিকুল ইসলাম।
বিদেশে অনেক ঈদ করা হয়েছে তার। তবুও ভুলতে পারেননি দেশের ঈদ আনন্দের কথা।
কানাডায় মুসলমান কম থাকায় ঈদ ততটা জাঁকজমকপূর্ণ হয় না বলে জানান তিনি। তবে সব মুসলিমদের একত্র করে একটি সংগঠন নামাজের আয়োজ়ন করে। তিনি যে শহরে থাকেন সে শহর ঈদের দিনেও কর্মব্যস্ত থাকে। অনেকে ছুটি নিয়ে নিয়মমাফিক জীবন থেকে মুক্তি নিলেও অধিকাংশের দিন কাটে অফিস করে।
লেখাপড়ার জন্য জাপানে থাকা আসিফেরও প্রবাসে প্রথম ঈদ এটা। আব্বু -আম্মু ছাড়া ঈদ করতে খুব খারাপ লেগেছে বলে জানান তিনি। এছাড়া ঈদের দিনে ক্লাস তার দুঃখের মাত্রাটা আরেকটু বাড়িয়ে দিয়েছে।
আসিফ বলেন, দেশে অনেকের সাথে দেখা হতো, কথা হতো, কোলাকুলি করা হতো। এখানে এমন কেউ নেই। এখানে যে দুই একজন আছে তাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েই ঈদ কাটাতে হল।