নীলফামারী থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের নয়ানী ও বাগডোকরা নামের দুটি গ্রামের অনেক শিশুই স্কুলে যেতে পারে না।
Published : 16 Oct 2014, 04:07 PM
স্কুলে যাওয়ার পথে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ১৪ জন শিশুর দেখা পাই যাদের দুজন কখনই স্কুলে যায়নি আর অন্যরা স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে। এদের বয়স সাত থেকে ১৪ বছরের মধ্যে।
তাদের একজন স্বপন। সে কাজ করে চায়ের দোকানে। ওর ভাই নিপন চালায় ফুলের দোকানে।
আরেক শিশু দেবশ্রী অন্যের বাড়িতে কাজ করে। সুজন কাজ করে মাছের দোকানে। আর বাকিরা ক্ষেতে কাজ করে।
পড়ালেখা করতে চায় কি না জানতে চাইলে নিপন বলে,"মুই স্কুলত যাবার চাও কিন্তু হামরা গরিব।"
আর যেসব শিশুর সঙ্গে কথা হয় তারা হচ্ছে ছবি (১১), শেফালী (১১), রঞ্জিত (১১) রাম প্রসাদ (১০), সুয়েল (১২), নয়ন (১৩), রিপন (১৩), সুজন (১৪), ডালিম (১১) ও জয়া (১৪)।
একজন জানান, শিগগির জয়া বিয়ে দেওয়া কথা ভাবা বলে ওকে স্কুল ছাড়িয়ে ঘরের কাজকর্ম শেখানো হচ্ছে।
অন্য মেয়েরাও বাল্যবিবাহের হুমকির মুখে রয়েছে।
সংসারের অভাব মেটানোর জন্য ছেলেদের কাজে পাঠানোয় স্কুল থেকে ছাড়ানো হয়েছে।
এদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সন্তানদের পড়াতে টাকার দরকার। তাদের টাকা নেই তাই বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে পারে না।
নিমোজখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধানশিক্ষক চিত্রমোহন রায় বলেন, “শিক্ষা ছাড়া কারো গতি নেই। তাই যেভাবেই হোক এদের লেখাপড়া নিশ্চিত করতে হবে।”
তবে এ দুই গ্রামে আটটি স্কুল আছে।