মাদকাসক্ত বাবা সারাদিন কোথায় কোথায় ঘুরে বেড়ায়; সংসারের দিকে তার কোন নজর নেই। তাই সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া সংগীতাকে রোজগারে নামতে হয়েছে।
Published : 13 Sep 2014, 11:10 AM
রাজশাহী মহানগরীর হড়গ্রাম পর্বপাড়ার ময়নুদ্দিনের মেয়ে সংগীতা খাতুন। সে স্থানীয় ইউসেফ স্কুলে পড়ে।
হ্যালোকে সে জানায়, ভাল স্কুলে লেখাপড়া করার ইচ্ছা ছিল তার। অভাবের সংসার সে সুযোগ দেয়নি তাকে।
আয় না করলে খাবার জোটে না। হ্যালোকে এ কথাগুলো জানায় ১৩ বছর বয়সী এই মেয়ে।
সংসারের খরচও দেয় না বাবা। তার মা মানুষের বাসায় কাজ করে। তাতে চলে না ওদের। তাই সে লেপ-তোশকের সেলাই করে।
সংগীতার খালু মুক্তার হোসেন তাদের বানানো লেপ-তোশক ফেরি করে বিক্রি করেন।
সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্কুলে থাকে সে। বাড়ি ফিরে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা লেপ তোশক সেলাই করে।
দিনে তারা দুজনে ৫টি লেপ বা তোশক সেলাই করতে পারে। আর প্রতিটি লেপ বা তোশক সেলাইয়ের জন্য জোটে ১৫ টাকা করে। তারা দুজন তা ভাগ করে নেয়।
অভাব থাকলেও সে পড়াশোনা থামাবে না। তবে ওর মার বিয়ে হয়েছিল ১৩ বছর বয়সে। আর তার খালার বিয়ে হয় ১৫ বছর বয়সে। তারও সেই পরিণতি হয় কিনা সে নিয়ে শঙ্কিত আছে ও।