ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের নায়ক সূর্য সেনের স্মৃতিবিজড়িত একটি বাড়ি বেদখলের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Published : 11 Sep 2014, 09:13 AM
বাড়িটি মাস্টার দা সূর্যসেনের সহযোদ্ধা বিপ্লবী ক্ষীরোদা প্রভার শ্বশুর বাড়ি। এই সেই বাড়ি যেখান থেকে পালানোর সময় ধরা পড়েন সূর্যসেন।
এখান থেকে সূর্যসেন গ্রেপ্তার হওয়ায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে বিপ্লবী কল্পনা দত্ত ও গণেশ ঘোষসহ বাংলাদেশ ও ভারতের বিশিষ্ট জনরা সেখানে একটি স্মৃতিফলক উদ্ধোধন করেন।
পটিয়ার গৈড়লা গ্রামের বিশ্বাস বাড়েই হচ্ছে সূর্যসেনের সহযোদ্ধা ও আশ্রয়দাতা বিপ্লবী ক্ষীরদা প্রভার শ্বশুর বাড়ি।
সূর্য সেনের এই আশ্রয়দাতা সহযোদ্ধা এই বীর নারীকেও নির্যাতন ভোগ করতে হয়।
১৯৩৩ সালে ব্রিটিশরা ক্ষীরদা প্রভার বাড়িতে আক্রমণের সময় কয়েকজন বিপ্লবী নিরাপদে চলে যাওয়ার পর মাস্টার দা সূর্য সেন পালানোর সময় ঝোপে শব্দ পায় ব্রিটিশরা। ধরা পড়েন মাস্টার ও তার সহযোগী বিপ্লবী ব্রজন্য সেন।
এরপর ব্রিটিশ সরকার তার বাড়িটি তছনছ করে দেয়। সাত বছর পর মুক্তি পায় মনরঞ্জন বিশ্বাস। ১২ বছর পর মুক্তি পান ক্ষীরদা প্রভা।
শুধু ব্রিটিশ আমলেই নয় পাকিস্তান আমলেও জেল জুলুম ভোগ করে পরে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হন এই বিপ্লবী নারী।
পাকিস্তান আমলে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলায় ফের গ্রেপ্তার হন মনরঞ্জন। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত কারাগারে বন্দি থাকেন।
বাংলাদেশে ক্ষীরদা প্রভার দুই নাতি দিপক বিশ্বাস ও অশোক বিশ্বাস এই ভিটে আকড়ে আছেন।
অনেকে আশ্বাস দিলেও সংস্কার হইনি ওই স্মৃতিফলকটির।
ক্ষীরদা প্রভার নাতি অশোক বিশ্বাস বলেন,"আশ্বাস দিলেও এখনও কোন সংস্কার এর ব্যবস্থা হয়নি।"
“ভূমিদস্যুদের জন্য নিরাপত্তার অভাবে আমরা কোন পদক্ষেপ নিতে পারছি না। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন এই জাতীয় সম্পদ রক্ষা করুক।”
খোঁজ নিলেই জানা যায় কারা এই বাড়ি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।