অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফেনী সেন্ট্রাল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
Published : 04 Apr 2022, 10:16 PM
সহায়ক বই কিনতে বাধ্য করা, অতিরিক্ত ফি আদায়, মহামারিতে ১৯ জন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা, নিয়মিত পাঠদান চালাতে না পারাসহ নানা অভিযোগ করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষাথী বলে, "করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের কাছ থেকে পুরো বছরের সেশন ফি নিয়েছে। তারপরও অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে ১৯ জন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। যার ফলে ঠিকভাবে ক্লাস হচ্ছে না।"
আরেক শিক্ষার্থী বলে, "অন্য কোনো স্কুলে সেশন ফি এবং অ্যাসাইনমেন্ট নেওয়া হচ্ছে না। শুধু আমাদেরই সেশন ফি এবং অ্যাসাইনমেন্ট নেওয়া হচ্ছে। আমাদের হয়রানি করছে।"
আন্দোলনকারীদের মধ্যে আরেক শিক্ষার্থী বলে, "আমার বাবা নেই আমি সেশন ফি কমানোর জন্য একটি আবেদন পত্র নিয়ে যাই। স্যার আমাকে নানা হয়রানির পর সামান্য পরিমাণ টাকা কমিয়েছে। যেটা পুরো টাকা দেওয়ার মতোই।"
বৃহস্পতিবার আন্দোলনের চতুর্থ দিনে জেলা প্রশাসকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপিও জমা দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এরপর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী সেলিম উল্লাহ্ এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, "এনসিটিবি আইনে পরিষ্কারভাবে নিষেধাজ্ঞা আছে আছে বোর্ডের প্রণীত বই ছাড়া অন্য কোনো বই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক করা যাবে না।"
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আশরাফুল আলম বলেন, "সিলেবাসে সহায়ক বইয়ের নাম যুক্ত করা কোনোভাবে ঠিক হয়নি। এই বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আন্দোলনের পর থেকে বিদ্যালয়ে আসেন না। মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে সভাপতি আশরাফুল আলম জানিয়েছেন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধান শিক্ষক। সভাপতির ভাষ্যে, তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন কোনো অনিয়ম কিংবা দুর্নীতি হয়নি।
