বগুড়ায় নয় দিন ব্যাপী একুশের বইমেলা শেষ হয়েছে।
Published : 01 Mar 2022, 05:48 PM
বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এ মেলায় শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
মেলায় নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন বই কিনতে দেখা যায় শিশুদের। মেলা ঘুরে কয়েক জন শিশুর সঙ্গে কথা হয় হ্যালোর।
স্কুলের সহপাঠীদের সাথে বই মেলায় ঘুরতে এসেছে রাফি নামের এক কিশোর। সে হ্যালোকে বলে, “মেলায় এসে খুব ভালো লাগছে। মেলা ঘুরে দেখছি। পছন্দের লেখকের একটি বই কিনেছি।”
লেখক জাফর ইকবালের বই কিনতে মেলায় এসেছে সুমনা নামের এক শিশু। সে হ্যালোকে বলে, “তিনটা বই কিনলাম জাফর ইকবাল স্যারের।”
হুমায়ুন আহমেদ ও জাফর ইকবালের বই কিনতে মায়ের সাথে বইমেলায় ঘুরতে এসেছে শফিক নামের এক শিশু।
শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও ভিড় করছে মেলায়। বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে সন্তানকে মেলায় নিয়ে এসেছেন সাখারাত নামের এক অভিভাবক।
তিনি হ্যালোকে বলেন, “আমি নিজেও ছোট বেলায় বই পড়েছি। আমি চাই সন্তান বেশি বেশি বই পড়ুক। ডিভাইস থেকে দূরে থাকুক।”
বইয়ের বেচাকেনাও ভালো হয়েছে বলে জানান বই বিক্রেতারা।
বই বিক্রেতা শামসুল হুদা হ্যালোকে বলেন, “মোটামুটি ভালো বিক্রি হয়েছে বই। শিশু একাডেমির গল্প, কবিতার বইয়ের চাহিদা বেশি আছে।”
ছোটদের বইয়ের স্টলে কথা হলো জাহাঙ্গীর আলম নামের এক বিক্রেতার সঙ্গে। তিনি হ্যালোকে বলেন, “ইশপের গল্প, ঠাকুরমার ঝুলি, গোপালভাড় এই বইগুলি বেশি বিক্রি হচ্ছে।”
মেলায় নিয়মিতই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং লেখকদের নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এবারের বইমেলায় স্থান পেয়েছে ৬০ টি স্টল। শুরু থেকে পাঠকদের আনাগোনায় জমজমাট ছিল মেলা।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না হ্যালোকে জানান, “এই বই মেলা গত বছর হয় নাই মহামারি করোনাভাইরাসের জন্য। তাতে বইমেলার ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েছিল। প্রকাশকদের কাছে জানতে পেরেছি, অমিক্রনের এই সময়েও পাঠকরা মেলায় আসছেন এবং ভালোই বই বিক্রি হচ্ছে।”