‘শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলায় ঘুরে দেখা যায়, এক কলসি খাবার পানি আনতে দুই থেকে চার কিলোমিটার পথও পাড়ি দিতে হয় এখানকার মানুষকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টাও দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দীর্ঘ লাইনে।’
Published : 17 Apr 2024, 09:07 PM
গ্রীষ্মের দাবদাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাতক্ষীরা উপকূলে সুপেয় পানির সংকট বাড়ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
উপকূলবাসী বর্ষার শুরু থেকে আশ্বিনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সরাসরি বৃষ্টির পানি পান করে থাকেন। শুষ্ক মৌসুমে সংকট ঘনীভূত হয়। আর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ সংকট শুধু বাড়ছেই বলে জানান তারা।
শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলায় ঘুরে দেখা যায়, এক কলসি খাবার পানি আনতে দুই থেকে চার কিলোমিটার পথও পাড়ি দিতে হয় এখানকার মানুষকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টাও দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দীর্ঘ লাইনে।
তারা জানান, সুপেয় পানির সংকটের বড় কারণ লবণাক্ততা। তাছাড়া এপ্রিলের শেষভাগ থেকে পরের তিন মাস পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অধিকাংশ নলকূপে পানি ওঠে না। আর আর্সেনিকযুক্ত পানির জন্যও আক্রান্ত হতে হয় নানা রোগে।
স্থানীয় এক তরুণ হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাতক্ষীরায় নিরাপদ পানির অভাব আরও বেড়ে যাচ্ছে।”
এক কিশোর হ্যালোকে বলে, “নিরাপদ পানির অভাবে আমরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছি।”
বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা খাবার পানির ব্যবস্থা করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দ্রুত পানির সংকট সমাধানের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
প্রতিবেদকের বয়স: ১১। জেলা: সাতক্ষীরা।