
ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষতি এড়াতে শনিবার বিকেল থেকেই বাগেরহাটের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে স্থানীয়রা।
এদিন বিকেলে বাগেরহাটের পুরাতন রেল রোডের শুভেচ্ছা শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারে গিয়ে দেখা যায়, ধীরে ধীরে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রটিতে আসছে। তবে তখনো আশ্রয়কেন্দ্রের তালা খোলা হয়নি।
সাইক্লোন শেল্টারের আশেপাশের স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
আসিরুন নামে এক নারী বলেন, "ঝড়ের সময় আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে থাকি। তবে এবার এখনো আশ্রয়কেন্দ্র পরিষ্কার করা হয়নি।"
আরেক নারী বলেন, "ঝড়ের সময় আমরা সাইক্লোন শেল্টারে থাকি। পরিবারের সবাই মিলে এবারো তাই করব।"
কেউ কেউ ঝড় বাড়লেই কেবল আশ্রয়কেন্দ্রে যাবেন বলে জানালেন।
পারভিন বেগম নামে এক নারী বলেন, "ঝড় বেশি হলে আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে যাব।"
একই কথা জানালেন সাইক্লোন শেল্টারের পাশের দোকানে বসে থাকা এক ব্যক্তি।
তিনি বলেন, "ঝড় যদি বেশি হয় তখন পরিবার নিয়ে সাইক্লোন সেন্টারে যাব।"
পরিবারের নারী ও শিশুদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রেই উঠবেন জানিয়ে এক ব্যক্তি বলেন, "মা বোন নিয়ে এখানে ওঠা ছড়া আর কোনো পথ নেই। আমাদের বাঁশ খুঁটির ঘর।"
কক্সবাজার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। রোববার নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
এই পরিস্থিতিতে কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। ৮ নম্বর বিপদ সংকেত রয়েছে চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: বাগেরহাট।