"দিবস দিয়ে তো আর পেটে ভাত জুটবে না।"
Published : 01 May 2025, 03:17 PM
শহর এলাকায় মে দিবসের নানা আয়োজন চোখে পড়লেও গ্রামাঞ্চলে তা সেভাবে দেখা যায় না। এমনকি গ্রামের অনেক শ্রমজীবী জানেনই না এই দিন সম্পর্কে।
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের জামিরবাড়ি গ্রামে এ প্রসঙ্গে বেশ কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলেছে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক।
এই গ্রামের বাসিন্দা ফরিদুল ইসলাম। বয়সের ভারে ন্যুব্জ তবু চলে তার জীবনযুদ্ধ। কাজ করে যা পান, তা দিয়েই ওষুধ কেনেন। বাকিটা দেন ছেলের হাতে।
এই বয়সেও কেন কাজ করছেন জানতে চাইলে বললেন, 'যতদিন পারব কাজ করব। ছেলের সংসারে কিছুটা সাহায্য আর কী। যখন পারব না, তখন ছেলে দেখবে।'
মে দিবস সম্পর্কে জানতে চাইলে তার পাল্টা প্রশ্ন ছিল, "সেটা আবার কী?"
একই এলাকায় পাটক্ষেতে কাজ করছিলেন দুই সন্তানের মা মঞ্জু বেগম। মে দিবস সম্পর্কে জানতে চাইলে কিছুটা হতবাক হয়ে বললেন, 'আমরা কোনো দিবস বুঝি না। অভাবের তাড়নায় সংসার চালাতে কাজ করতে এসেছি। কাজ করলে খাইতে পারব, না পারলে পাব না।'
এই এলাকায় এমন অনেক শ্রমজীবী মানুষ আছেন, যাদের কাছে দিন মানে শুধুই কাজের দিন। কাজ না করলে উপার্জন নেই, জুটবে না খাবারও।
জাহিদুল ইসলাম নামে ষাটোর্ধ্ব এক রিকশা চালক হ্যালোকে বলেন, 'মে দিবস হয়, আপনাদের মাধ্যমেই শুনি। রিকশা চালিয়ে যা পাই তা দিয়ে কোন রকম সংসার চলছে। এসব দিবস আসে যায়, কিন্তু আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না।'
সোহেল নামে এক ইট ভাটার শ্রমিক বলছিলেন, 'দিবস দিয়ে তো আর পেটে ভাত জুটবে না। আমাদের কাজ আর কেউ করে দিবে না। কাজ না করলে টাকা দিবে না।'
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: নীলফামারী।