ট্রেন থেকে আমি অনেক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে পাই। এসব প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে আমি অভিভূত হয়েছিলাম।
Published : 09 Jun 2022, 09:51 PM
আমরা ছুটি পেলেই সবাই মিলে নানা বাড়ি ঘুরতে চলে যাই। আমরা মানে আমি, বাবা, মা। আমার নানা বাড়ি টাঙ্গাইল।
আমি আজ থেকে প্রায় চার বছর আগের ঘটনা বলছি। ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বরের ঘটনা।
সেদিন আমরা টাঙ্গাইল যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হই। প্রথমে আমরা জামালপুর স্টেশন থেকে টাঙ্গাইল যমুনা সেতু স্টেশনে যাওয়ার জন্য ট্রেনে উঠি।
ট্রেন থেকে আমি অনেক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে পাই। এসব প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে আমি অভিভূত হয়েছিলাম। তারপর আমরা বাসে করে টাঙ্গাইলের আশেকপুর বাইপাসে গিয়ে নামি। এরপর আমরা বিকেল ৪টার সময় নানার বাসায় পৌঁছাই।
তারপর আমরা হাত-মুখ ধুয়ে বিশ্রাম নেই। সেদিন আমরা আর কোথাও যাইনি। রাতের খাবার খেয়ে আমরা নিজ নিজ ঘরে ঘুমাতে যাই। পরের দিন আমার মায়ের দাদার বাড়ি যোগনী যাই। আমরা সেখানে গিয়ে অনেক মজা করি।
সারাদিন পর আমরা ফিরে আসি আশেকপুরে। এরপর আমরা নানার কাছে মুক্তিযুদ্ধের অনেক গল্প শুনি। এর মধ্যে ইন্ডিয়ায় নানার প্রশিক্ষণের গল্প শুনি। এই আলাপে আরও ছিল কামালপুরের সেই ভয়াবহ যুদ্ধের কথা। এসব শুনতে শুনতে আমরা রাতের খাবার শেষ করে নিজ নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ি।
পরদিন আমরা নানার বাসার সামনে থাকা বিখ্যাত জাদুকর প্রতুল চন্দ্র সরকারের বাসায় ঘুরতে যাই। সেখানে রয়েছে একটি সুন্দর বাগান ও একটি পুকুর ঘাট। সেখানে আমরা সারাদিন কাটাই। আমার কাটানো দিনগুলো ছিল অসাধারণ, মজার ও স্মরণীয়।