‘আমাদের দেশেও ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই খেলাটি। ২০২৩ সাল থেকে আমিও এই খেলাটি শিখতে শুরু করি।’
Published : 02 Apr 2024, 05:20 PM
বলা হয়ে থাকে রণক্ষেত্রে তলোয়ার নিয়ে লড়াইয়ের সংস্কৃতি থেকে ফেন্সিং খেলার উৎপত্তি। আধুনিক যুগে যুদ্ধের জন্য আধুনিক অস্ত্র এলেও হারিয়ে যায়নি তলোয়ার তলোয়ার এই খেলা। ফেন্সিংকে বলা হয় এই তলোয়ার যুদ্ধের নিরাপদ সংস্করণ।
এই খেলাতে দুইটি পক্ষে এক বা একাধিক প্রতিযোগী অংশ নেয়। যাদের প্রত্যেকের হাতে এক ধরনের লাঠির মতো সরঞ্জাম থাকে। যা দিয়ে তারা প্রতিপক্ষের দেহের নির্দিষ্ট একটি অংশে আঘাত করার চেষ্টা করে। সত্যিকার অর্থে কাউকে আঘাত করে আহত করার মতো ব্যপার নয়। এটি নিছক একটি খেলা। এই খেলায় তিন ধরনের তলোয়ার ব্যবহার করা হয়।
আমাদের দেশেও ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই খেলাটি। ২০২৩ সাল থেকে আমিও এই খেলাটি শিখতে শুরু করি। আমার স্কুল বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল, ঢাকার মাধ্যমে ফেন্সিং খেলায় আমার হাতেখড়ি।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে স্কুল থেকে ফেন্সিং খেলার প্রতি আগ্রহীদের তালিকা জমা নেয়। অনেক শিক্ষার্থীর মতো আমিও নাম জমা দেই।
এরপর আমাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। আমরা কিছুদিন স্কুলের মাঠে প্র্যাকটিস করি। তারপর থেকে মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে প্র্যাকটিস করি।
আমাদের কোচ জাহিদ স্যার ও কয়েকজন বড় ভাইয়া ফেন্সিং খেলায় অনেক উৎসাহ দেন। আমি ইতিমধ্যে একটি ফেন্সিং টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছি।
ফেন্সিং খেলার অনেক উপকারিতা আছে। এতে শরীরের ব্যায়াম হয় ও ক্লান্তি দূর হয়। ঢাকায় বর্তমানে অনেকগুলো ফেন্সিং ক্লাব তৈরি হয়েছে। ফেন্সিং খেলার প্রতি কিশোর কিশোরীদের আগ্রহ বাড়ছে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: ঢাকা।