প্রথম দেখা ঢাকা শহর

আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল ঢাকায় যাব, রাজধানী দেখব। জীবনে সেই দিনটি হুট করেই এলো।

২০ নভেম্বর ঠাকুরগাঁও থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। ট্রেনের খোলা জানালার পাশে বসে আনমনে ছবি আঁকছি রাজধানী ঠিক কেমন হবে! ঝকঝক শব্দে এগিয়ে চলছে রেলগাড়ি। সেই সঙ্গে আমার ভাবনাও পাখা মেলে উড়ছে।

ছোট থেকেই মানুষের কাছে শুনতাম ঢাকায় নাকি যানজট আর শব্দ দূষণ। খুব নাকি বড় শহর। বুড়িগঙ্গা নদী দিয়ে নাকি বড় বড় লঞ্চ ভেসে যায়। এগুলোই ভাবতে ভাবতে অবশেষে পৌঁছে গেলাম ঢাকায়।

ঢাকায় এসে আমার খুব ভালো লাগল। ঢাকায় নাকি সব আছে, সেই সব জিনিসগুলো কী কী তার কৌতূহল নিয়ে বেড়িয়েছি শহরের নানা জায়গায়। কী আছে এই শহরে যা আমার অজানা!

বইয়ের পাতায় দেখেছি বায়তুল মোকাররম আর আহসান মঞ্জিলের ছবি। বড় ভাইদের কাছে শুনেছি তাদের স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। টিভিতে সদর ঘাটের কথা শুনেছি। এই জায়গাগুলোকে নিজ চোখে দেখার জন্য বেড়িয়ে গেলাম।

একটু দূর থেকে জাতীয় মসজিদকে দেখে মনে হচ্ছিল, আমি বইয়ের সেই ছবিটি দেখছি। আনন্দে আত্মহারা অনুভূতিগুলো কাগজে-কলমে প্রকাশ করার মতো নয়। একে একে সদর ঘাট, আহসান মঞ্জিল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেখার সুযোগ হয় সামনে থেকেই।

বাড়ি ফেরার মুহুর্তে মনে হয়েছে, ঢাকা শহর আসলেই খুব বড় শহর। যে শহর দেখে শেষ করার মতো নয়। তাই ওই দিনটি আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: ঠাকুরগাঁও।