‘সেখানে উল্টো আমরা গাছ কেটেই চলেছি এবং যে কারণগুলো বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী, সেগুলোর লাগাম আমরা টেনে ধরছি না।’
Published : 28 Apr 2024, 01:35 PM
গ্রীষ্মকালকে আমরা সবাই গরমের মৌসুম বলেই চিনি। বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ এই দুইমাস গ্রীষ্মকাল। এসময় সূর্যের প্রচন্ড তাপে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভূমি। পানি শুকিয়ে দেখা দেয় খরা।
টানা ২৮ দিন ধরে তাপপ্রবাহ বইছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। তাপমাত্রা নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে। আমার মনে হয়, জলবায়ু পরিবর্তনই এই তীব্র প্রবাহের জন্য দায়ী।
প্রচণ্ড এই গরম থেকে বাঁচতে বৃক্ষরোপণের প্রয়োজন আছে। তবে এই সহজ সমাধানের পেছনে আরও বেশ কিছু সমাধানও ঢাকা পড়ে যায়। সেগুলো হলো, গাড়ি ও কারখানার ধোঁয়া এবং সিএফসি নির্গত হয় এমন যন্ত্রপাতির ব্যবহার কমিয়ে আনা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা।
আমি আবারও বলছি, গাছের ভূমিকাও কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বৈশাখের এই খরতাপে গাছের নিচে একটু বসলেও যেন প্রাণ ফিরে আসে। তাছাড়া বনভূমির পরিমাণ বেশি থাকলে বৃষ্টিপাতও বেশি হয়।
সেখানে উল্টো আমরা গাছ কেটেই চলেছি এবং যে কারণগুলো বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী, সেগুলোর লাগাম আমরা টেনে ধরছি না।
আমরা যুগ যুগ ধরে প্রকৃতিতে ধ্বংস করেছি। প্রকৃতি এখন আমাদেরকে শাস্তি দিবে এটাই তো স্বাভাবিক।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: সিলেট।