সে আমাকে আরও জানায়, নিয়মিত সে স্কুলে যায়। স্কুল শেষে শহরে আসে ভিক্ষা করতে।
Published : 25 Jan 2023, 01:48 PM
কিছুদিন দিন আগে গাইবান্ধা সদর উপজেলার পৌরপার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম।
সেখানে একটি ছয় বছরের মেয়েকে ভিক্ষা করতে দেখে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে যায় আমার। শিশুটির সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি তার বাড়ি শহর থেকে বেশ দূরে। বাড়ি হলেও রোজ তাকে এখানে ভিক্ষা করতে আসতে হয়।
কথায় কথায় জানতে পারি সে প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। ছোট্ট এই জীবনে তাকে দেখতে হচ্ছে জীবনের কঠিন বাস্তবতা। একটি সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তার মা-বাবা দুজনকেই।
সবচেয়ে কাছের অভিভাবক হারিয়ে সে এখন তার খালার বাড়িতে আশ্রিত।
তার সঙ্গে যখন আমি এত কথা বলে ফেললাম তখন সে আমার সঙ্গে মনের আরও কিছু কথা ভাগাভাগি করতে শুরু করে। সে জানায়, তার খালুর জন্যই তাকে ভিক্ষা করতে হয়। এর আগেও সে বিভিন্ন মানুষের কাছে নিজের কষ্টের কথা বলায় তার খালু তাকে অকথ্য ভাষায় বকাবকি করে। এজন্য সে আমার সঙ্গে কথা বলতেও একটু ভয় পাচ্ছিল যেন!
মেয়েটি ভয়ে আমার সঙ্গে কোনো ছবিও তুলল না। বিষয়টি বুঝতে পারার পর আমিও তাকে কোনো বিপদে ফেলতে চাইনি। কিন্তু মনে হয়েছে এই শিশুর গল্পটা আমি হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের মাধ্যমে সবাইকে জানাতে পারি। এতে আমরা হয়ত শিশুদের প্রতি সহানুভূতিশীল হব।
সে আমাকে আরও জানায়, নিয়মিত সে স্কুলে যায়। স্কুল শেষে শহরে আসে ভিক্ষা করতে। রোজই বাড়ি ফিরতে গিয়ে রাত হয়ে যায় তার।
একটি শিশু যখন কোনোকিছু বুঝতে শেখার আগেই ভিক্ষা করা শুরু করে এবং অন্যের কাছে হাত পাততে শেখে তা আমাদের জন্য লজ্জা। একটি দেশের ভবিষ্যত হিসেবে কি শিশুরা এমনটা প্রাপ্য?
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: গাইবান্ধা।