শুধু যে পানাম নগর তা নয়, আমাদের দেশে এমন অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে যা সংরক্ষণ বা সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে।
Published : 25 Mar 2024, 04:53 PM
বাংলার ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর মধ্য পানাম নগর অন্যতম। পানাম নগর ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, এই সোনারগাঁও এক সময় হিন্দু রাজা দনুজমাধব দশরথ দেবের শাসনকেন্দ্র ছিল। মুসলিম শাসন আমলে ১৬১০ সাল পর্যন্ত এই সোনারগাঁও বাংলার অন্যতম রাজধানী ও প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল। ঐতিহাসিকগণ আজকের এই সোনারগাঁকে ইতিহাসে উল্লেখিত প্রাচীন নগর সুবর্ণগ্রাম বলে মনে করেন। ঔপনিবেশিক সময়কালেও এই এলাকায় বাণিজ্যিক,আবাসিক ও ধর্মীয় স্থাপনা নির্মিত হয়েছে।
সোনারগাঁওয়ের পানাম নগরে গেলে দেখা মিলবে সারি সারি পুরানো বাড়ি যা বাংলার পুরাতন স্থাপত্যকলার নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পানাম নগরের ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখতে অনেক বিদেশি পর্যটকও আসেন এখানে।
এখানে ঘুরতে আসা কয়েকজন বিদেশি পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল পানাম নগরের নির্মাণ শৈলী দেখে তারা বেশ মুগ্ধ।
বিদেশি পর্যটকদের একজন বললেন, এই ঐতিহ্য সংরক্ষণে আমাদের আরও তৎপর হতে হবে।
এক দিক থেকে এটি একটি ভালো লাগার সংবাদ যে অন্যরাও আমাদের ঐতিহ্য নিয়ে চিন্তা করে। কিন্তু আমরাই যদি নিজেদের সংস্কৃতি ধরে রাখতে না পারি, তাহলে অন্যরা এই নিয়ে চিন্তা করলেই কী বা না করলেই কী?
শুধু যে পানাম নগর তা নয়, আমাদের দেশে এমন অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে যা সংরক্ষণ বা সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে।
আমি মনে করি, এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো আমাদের অমূল্য সম্পদ যা আমাদের ইতিহাস,ঐতিহ্য ও অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে।
আমি একটি সংবাদ প্রতিবেদনে দেখেছি,আমাদের দেশে দুই হাজারের বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন চিহ্নিত করা হলেও পাঁচশত নয়টি স্থাপনা সংরক্ষিত নিদর্শন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি নিদর্শন সংরক্ষণের আওতায় না আসায় নষ্ট হচ্ছে।
দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সুরক্ষায় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ও জাদুঘরগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে। তাহলে নতুন প্রজন্ম দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানার সুযোগ পাবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।