একটা মেয়ে যখন আক্রান্ত হয় তখন দোষটা তাকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
Published : 25 Sep 2022, 06:37 PM
আমাদের দেশে মেয়েদের সুরক্ষা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হয়নি বলেই আমি মনে করি।
এই আধুনিক সময়ে এসেও আমাদের দেশে নারীর কতটুকু সুরক্ষা নিশ্চিত হলো সেটি নিঃসন্দেহে বড় আলোচনার বিষয়। আমরা তো এখনো ঘর থেকে একা বের হতে ভয় পাই। একটা মেয়ে চাইলেই সবখানে যেতে পারে না।
প্রায়ই সংবাদমাধ্যমে দেখতে পাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে শিক্ষার্থী কিংবা চলন্ত বাসে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কোনো কর্মজীবী নারী। এই ধরনের সংবাদগুলো মনে আরও ভীতি তৈরি করে। নিজেকে নিজেই ঘরে আটকে রাখতে চাই নিরাপত্তার অভাবে।
মানুষ আধুনিক হচ্ছে, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করছি আমরা। কিন্তু চিন্তাধারায় অনেক ক্ষেত্রেই আমরা পিছিয়ে আছি। এখনো সমাজের অনেক মানুষ কোনো একটা ঘটনা ঘটলে সেটা নারীর উপরই চাপানোর চেষ্টা করে থাকে। নারীর চারিত্রিক বিষয়ে সামনে এনে হেনস্তা করতে থাকে।
ছেলেদেরকেও শেখোতে হবে কীভাবে একটি মেয়ের নিরাপত্তা দিতে সে ভূমিকা পালন করতে পারে। ছেলেরাও এগিয়ে আসলে নারীর প্রতি যারা অন্যায় করে তারা কোণঠাসা হয়ে পড়বে। এই সমাজে বুক উঁচু করে কথা বলার স্পর্ধ্বা তারা আর পাবে না।
আমরা যখন বন্ধুরা পরিকল্পনা করি বাইরে বেড়াতে যাব, আমাদের অনেকের পরিবারই তাতে সমর্থন দেয় না। কারণ একটাই, মেয়েদের নিরাপত্তা। অনেক বিশ্বস্ত মানুষের কাছেও মেয়েদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। তাই পরিবারের দুঃশ্চিন্তা কোনো অস্বাভাবিক কিছু নয়।
একটা মেয়ে যখন আক্রান্ত হয় তখন দোষটা তাকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সে হিজাব পড়েছিল কিনা, সে রাতে বাইরে যায় কিনা, তার ছেলে বন্ধু আছে কিনা ইত্যাদি নানা অমূলক বিষয় সামন আনা হয়।
আমরা তো দেখি নয় মাসের শিশুও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এই ছোট শিশুটির কী দোষ থাকতে পারে আমি জানি না। নির্যাতনের জন্য দায়ী নিপীড়কই। গোটা পুরুষ সমাজও দায়ী নয়, নারীর পোশাক বা ছেলে বন্ধু থাকা- এসব কারণও দায়ী নয়। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে রাষ্ট্রকে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ফেনী।