সাহিত্য ছাড়া সমাজ কিংবা সভ্যতাকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা যায় না, আবার বোঝাও যায় না।
Published : 23 Apr 2024, 09:45 AM
বই পড়াটা এখন আমাদের অনেকেরই দিনলিপিতে নেই। আগে যেটা ছিল প্রায় ঘরে ঘরেই।
জন্মদিন, বিয়ে বা কোনো উৎসবে বই উপহার দেওয়ার রীতিটা গড়ে উঠলে উন্নত মস্তিষ্কের একটি প্রজন্ম গড়ে উঠত। বই মানুষের বিবেককে জাগ্রত করে, চিন্তা শক্তির বিকাশ ঘটায়। বই পারে মানুষের প্রকৃত বন্ধু হতে।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি উক্তি পড়েছিলাম। বইয়ের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, বই পড়াকে যথার্থ হিসাবে যে সঙ্গী করে নিতে পারে, তার জীবনের দুঃখ কষ্টের বোঝা অনেক কমে যায়।
সাহিত্য চর্চাও কমে গেছে বলে আমার ধারণা। আমাদের প্রজন্ম থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিংবা কাজী নজরুল ইসলামের সমকক্ষ কেউ তৈরি হতে পারবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। সাহিত্য জিনিসটা সাধনার বিষয়। এটি অত সহজে ধরা দেয় না। কিন্তু আমাদের প্রজন্ম যথাযথ সাহিত্য সাধনা করছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
তরুণ প্রজন্মের অনেকেই লিখছে এখন। মানহীন বইয়ে ছেয়ে যাচ্ছে বাজার। এমনও হচ্ছে, তাদের বই চলে যাচ্ছে সর্বোচ্চ বিক্রিত বইয়ের তালিকায়।
আমি মনে করি, সাহিত্য হচ্ছে সমাজের প্রতিচ্ছবি। সাহিত্য ছাড়া সমাজ কিংবা সভ্যতাকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা যায় না, আবার বোঝাও যায় না।
পড়ুয়া একটা প্রজন্ম যদি গড়ে তোলা যায় তাহলে মেধাবী একটি জাতি তৈরি হবে। জ্ঞান, বিজ্ঞান, উদ্ভাবন, শিল্প, সাহিত্য অনেকভাবেই এগিয়ে যাবে আমাদের দেশ।
(প্রতিবেদনটি ২০২১ সালে প্রকাশিত)