সবাইকে সচেতন করার দায়িত্বটা সরকার ও গণমাধ্যমকে নিতে হবে।
Published : 30 Jul 2022, 06:23 PM
জীবাশ্ম জ্বালানি বলতে প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, পেট্রোল ইত্যাদিকে বোঝায়। বইতে পড়েছি, এই জ্বালানি একদিন শেষ হয়ে যাবে।
আমরা মনে করি এই প্রাকৃতিক সম্পদগুলো অফুরন্ত। তাই এগুলো ব্যবহার করি খেয়াল খুশি। আমরা অপচয় করে ফেলি অনেক সম্পদ। কিন্তু এগুলো শেষ হয়ে গেলে কেমন হতে পারে তা আমরা কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারছি। আমরা এক ধরনের সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছি।
বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সঙ্কট এড়াতে বিদ্যুৎ ও তেলের খরচ কমানোর জন্য লোডশেডিংসহ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এই সংকটের জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করা হচ্ছে।
কিন্তু এই সংকট যখন জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার ফলে হবে তখন এর জন্য নিশ্চয় আমাদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হবে। কিন্তু আমরা অনেকেই এখনো বিদ্যুতের অপচয় করে থাকি। কেউ হয়ত অযথাই দিনের বেলায় বাতি জ্বালিয়ে রাখি কিংবা নানা আলোকসজ্জা করে থাকি।
গ্যাসের ক্ষেত্রেও আমরা একই রকম উদাসীন। অনেকেই মনে করেন সরকারি গ্যাসের লাইন, বিলও নির্দিষ্ট। বেশি খরচ করলেও যে বিল আসবে, কম করলেও একই খরচ আসবে। তাই অনেকে দ্রুত কাপড় শুকাতেও গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখেন।
আমাদের সবার একটু একটু অপচয় জমা হয়ে বেশ বড় ক্ষতির সম্মুখীন করছে আমাদের সবাইকেই। এসব সম্পদ অপচয় রোধ করার জন্য কখনো একা পদক্ষেপ সুবিধা বয়ে আনতে পারে না। সবাইকে সচেতন করার দায়িত্বটা সরকার ও গণমাধ্যমকে নিতে হবে।
জীবাশ্ম জ্বালানির উপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে এনে অনবায়নযোগ্য সম্পদের ব্যবহার থেকে সরে এসে আমাদের নবায়নযোগ্য শক্তির উপর নির্ভরশীল হতে হবে। যার ফলে আগামীতে আমাদের অনবায়নযোগ্য শক্তির জন্য কোনো প্রকার সংকট তৈরি হবে না।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: ঢাকা।