'আমার দাদির ছোট ভাই জুয়েল দাদু। তিনি ‘চলো দাদু বাড়ি যাই, নানু বাড়ি যাই' নামে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই আমরা জামালপুরের মাদারগঞ্জের তেঘরিয়াতে যাই।'
Published : 21 Apr 2024, 08:53 PM
ঈদের দ্বিতীয় দিন আমরা সপরিবারে বাবার মামাবাড়িতে বেড়াতে যাই। আমি এর আগেও কয়েকবার ওই বাড়িতে গিয়েছি। কিন্তু এবারের যাওয়াটা একটু অন্য রকম। এবার আমাদের যাওয়াটাই ছিল অন্যরকম এক আয়োজনের অংশ। এটাকে স্বজনদের পুনর্মিলন অনুষ্ঠান বা পিকনিকও বলা যেতে পারে।
আমার দাদির ছোট ভাই জুয়েল দাদু। তিনি ‘চলো দাদু বাড়ি যাই, নানু বাড়ি যাই' নামে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই আমরা জামালপুরের মাদারগঞ্জের তেঘরিয়াতে যাই। এখানে বাবার মামাবাড়ি। আমাদের প্রায় সব আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে দেখা হয় এখানে এসে।
মূল অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে আমার সমবয়সী মনিষা ফুপির সঙ্গে আমি ও আমার ছোট বোন কুহু বাবার বাড়ির আশেপাশে ঘুরে আসি। পাশেই ঈদ মেলা বসেছিল, সেখানেও ঘুরতে যাই।
বিকালের দিকে আমাদের মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। স্বজনদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে মিলন চৌধুরী দাদু ও রিজু আহমেদ কাকার সঙ্গে আমিও উপস্থাপনা করি।
সেখানে শিশুদের জন্য ছিল চিপস ও চকলেট খেলা, কিশোরীদের জন্য চেয়ার খেলা ও নারীদের জন্য বালিশ খেলার আয়োজন ছিল। আমি চেয়ার খেলায় প্রথম হই।
খেলাধুলার পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে নৃত্য পরিবেশন করে শিশু তানিশা, সোনিয়া, পাখি, তিথি, রিফাত, বাবু, আনিসা, সাবিহা, শারমিনসহ অনেকে। আমি এই পর্বে একটি কবিতা আবৃত্তি করি।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই আয়োজন।
খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা হওয়ার বিষয়টি আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।