কথাগুলো শুনে খুবই বিস্মিত হয়েছি। আমি নবম শ্রেণিতে পড়ছি অথচ আমার বয়সী বান্ধবী সংসার সামলাচ্ছে।
Published : 19 Mar 2024, 06:36 PM
গল্পটা আমার এক বান্ধবীকে নিয়ে। প্রথম শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত একসঙ্গে পড়েছি আমরা। চতুর্থ শ্রেণিতে উঠে স্কুল পাল্টানোর পর তার সঙ্গে দেখা হয়নি।
মাস খানেক আগে আমার অন্য এক বান্ধবী জানায়, আমার ওই বান্ধবীটি তার পাশের গ্রামেই থাকে। ওখানে তার শশুরবাড়ি। বয়স্ক এক লোকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তার। বিয়ের পর তার একটি ছেলে সন্তানও হয়েছে।
কথাগুলো শুনে খুবই বিস্মিত হয়েছি। আমি নবম শ্রেণিতে পড়ছি অথচ আমার বয়সী বান্ধবী সংসার সামলাচ্ছে।
তারপর আমি তার কয়েক জন প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলি। তাদের কাছ থেকে জানতে পারি, বিয়ের পর থেকে আমার এই বান্ধবী নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছে। তার সন্তানও অসুখ বিসুখে ভুগছে। কিন্তু তারা কেউই সুচিকিৎসা পাচ্ছে না।
প্রতিবেশীদের কাছ থেকে শুনেছি, শশুরবাড়ির লোকেরা বলে, “পোয়াতি মানুষ তো, এমনেই ঠিক হব।”
সন্তানের অসুখের বেলাতেও তারা বলে, “ছাওয়াটাকে ভূতে ধরেছে।”
মা ও শিশু কাউকেই চিকিৎসকের কাছে নেয় নাই। গ্রামের কবিরাজ দিয়েই তাদের চিকিৎসা করানো হচ্ছে।
অল্প বয়সে মেয়েটা বাল্যবিয়ের শিকার হলো। এখন প্রতিনিয়ত কুসংসারের শিকার হতে হচ্ছে তাকে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: কুড়িগ্রাম।