
আমাদের প্রজন্ম আর ইন্টারনেট একটি অন্যটির সঙ্গে খুব বেশি জড়িত। আমরা ইন্টারনেট ছাড়া নিজেদের কল্পনাই করতে পারি না।
ইন্টারনেট ব্যবহার খারাপ নয়। ইন্টারনেট আমাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বহুগুণ। এখন আমরা বিশ্বগ্রামের বাসিন্দা। বন্ধুত্ব তেরি করতে কিংবা ব্যবসা করতে কোনো সীমানা প্রাচীর বাধা হয়ে উঠতে পারে না।
আমরা চাইলে এখন বাংলাদেশে বসেও বিশ্বের যে কোনো দেশ সম্পর্কে সহজেই জানতে পারছি, নানা দেশের বই পড়তে পারছি, গান কিংবা সিনেমা দেখতে পারছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আমরা নিজেদের তথ্য ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে পারছি, অনেকে আবার সমাজ ও মানব উন্নয়নের জন্য নানা কাজও করতে পারছে।
ইন্টারনেট যখন আমাদের জীবনকে করেছে সহজ ও আধুনিক তখন এই মাধ্যমে নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের সচেতন থাকা প্রয়োজন। বাস্তব জীবনে আমরা যেমন নানা সমস্যার মুখোমুখি হই, বিপদের মুখোমুখি হই ঠিক তেমনি ভার্চুয়াল জীবনেও এরকম শঙ্কা রয়েছে।
বাস্তব জীবনে আমাদের বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় কিংবা কাউকে আক্রমণ করা হয়, ঠিক তেমনি ভার্চুয়াল জীবনেও এরকম নানা শত্রু থাকতে পারে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে এই আক্রমণ করাকে সাইবার বুলিং বলা হয়।
সাইবার বুলিংয়ের ফলে একজন কিশোর কিশোরী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারে। দেখা গেল আমারই কোনো এক পরিচিত বন্ধু আমার নামে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে বা বাজে ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
কেউ সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে তাকে কোণঠাসা না করে তার পাশে দাঁড়ানো উচিত আমাদের। আমরাও যেন এই অন্যায়ের মুখোমুখি না হই সে ক্ষেত্রে অনলাইনে নিজেদের সুরক্ষিত রাখা উচিত। বন্ধু নির্বাচনে আমাদের যেমন সাবধান হতে হবে ঠিক তেমনি ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে আপলোড করার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: নড়াইল।