'আমি দেখেছি, শিশুদের স্কুলে দিতে ও নিতে আসা মেধাক্রমে প্রথম দিকে থাকা সন্তানের অভিভাবকরা নিজেরা দল তৈরি করে ফেলেন। তারপর অন্য অভিভাবকদের সঙ্গে কার সন্তান কত মেধাবী এই নিয়ে আলোচনায় জড়ান, একে অন্যকে হেয় করার চেষ্টায় মেতে উঠেন।'
Published : 16 Jan 2024, 07:28 PM
অনেক বছর ধরে আমাদের দেশের বিদ্যালয়গুলোতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় এরকম অবস্থানের সংস্কৃতি চলে আসছে। এই মেধাক্রম ও পরীক্ষায় সন্তানের প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে প্রায়ই অভিভাবকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলতে দেখা যায়।
আমার মনে হয়, মেধাক্রম পদ্ধতি তৈরি হয়েছিল শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা যোগাতে। কিন্তু কোনো কোনো অভিভাবক এই ব্যাপারটিকে বলা যায় বিষাক্ত বানিয়ে ফেলেছেন।
আমি দেখেছি, শিশুদের স্কুলে দিতে ও নিতে আসা মেধাক্রমে প্রথম দিকে থাকা সন্তানের অভিভাবকরা নিজেরা দল তৈরি করে ফেলেন। তারপর অন্য অভিভাবকদের সঙ্গে কার সন্তান কত মেধাবী এই নিয়ে আলোচনায় জড়ান, একে অন্যকে হেয় করার চেষ্টায় মেতে উঠেন।
অনেক সময় অভিভাবকেরা এখানে অপমানিত হয়ে বাসায় এসে সন্তানকে মানসিক ভাবে আবার কখনো শারীরিক ভাবে আঘাত করেন।
আমি চাই, আমাদের সরকার ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এই বিষয়টির উপর নজর দেবেন। অভিভাবকদের এই সংস্কৃতি থেকে বের করে আনতে কাউন্সিলিং ও প্রচারণার প্রয়োজন। স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা অভিভাবক মিটিংয়েও এই বিষয়টি তুলে ধরে অভিভাবদের সচেতন করা যেতে পারে।
আমি চাই, শিশুরা যেন সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠে। অভিভাবকদের কোনো ভুল প্রতিযোগিতা যেন তাদের সুন্দর শৈশবকে অতিষ্ঠ করে না তোলে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: গাজীপুর।