আমি আমার জেলায় অনেক বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটতে দেখেছি। খুব কম সময়ই প্রশাসন এই ধরনের বাল্যবিয়ের খবর পেয়েছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাল্যবিয়ে সংঘটিত হয়েছে।
Published : 18 Jan 2024, 08:09 PM
বাল্যবিয়েকে আমাদের সমাজের জন্য একটি অভিশাপ বলে মনে করা হয়। তবুও বাল্যবিয়ে যেন কমছেই না। আমার জেলা সিরাজগঞ্জের চলনবিল অধ্যুষিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায়ই বাল্যবিয়ের ঘটনা শোনা যায়।
আমার মতে, এসব বাল্যবিয়ের মূল কারণ সামাজিক সচেতনতার অভাব। নিরক্ষরতাও অন্যতম কারণ।
আমি আমার জেলায় অনেক বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটতে দেখেছি। খুব কম সময়ই প্রশাসন এই ধরনের বাল্যবিয়ের খবর পেয়েছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাল্যবিয়ে সংঘটিত হয়েছে।
আমি আমাদের গ্রামের বাজারগুলোতে বাল্যবিয়ে বিরোধী সচেতনতামূলক অনেক লেখা দেখতে পাই। এত সব প্রচারণার পরেও মানুষের মধ্যে যেন সচেতনতা তৈরি হচ্ছে না।
আমি মনে করি, সামাজিক সচেতনতা বাড়লেই বাল্যবিয়ে কমানো যাবে। এই জন্য বাল্যবিয়ে বিরোধী প্রচারণাকে আরও ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে।
স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এই ব্যপারে আরও বিস্তৃত উদ্যোগ নিতে হবে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে লিফলেট বিতরণ ও উঠোন বৈঠকের আয়োজন করে গ্রামের জনসাধারণের কাছে বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিকগুলো উপস্থাপন করতে হবে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে বাল্যবিয়ের জন্য জবাবদিহির আওতায়ও আনা জরুরি বলে আমার মনে হয়।
প্রতিবেদকের বয়স:১৬। জেলা: সিরাজগঞ্জ।