বাল্যবিয়ের পরিণতি খারাপ হয়

আমাদের দেশের প্রায় সব জেলাতেই বাল্যবিয়ে সংঘটিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। কোথাও পরিমাণটা একটু বেশি আর কোথাও কম, তফাৎ শুধু এইটুকু।

আমার জেলা কুষ্টিয়াতেও অনেক বাল্যবিয়ের ঘটনা দেখেছি। অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ায় অনেক কিশোরীর শিক্ষা জীবন ও তাদের স্বপ্ন শেষ হয়ে যেতে দেখেছি।

আমি যেখানে অবসর সময়ে বান্ধবীদের সঙ্গে গল্প করে ও খেলাধুলা করে সময় কাটাই সেখানে তারা সংসার সামলাতে ব্যস্ত।

শুধু তাই নয়, বাল্যবিয়ে বলতে এমন একটা সময়ে বিবাহকে বোঝায় যখন কোনো মানুষেরই মানসিক পরিপক্বতা আসে না।

বাল্যবিয়ের শিকার আমার এক বান্ধবীকে বছর না যেতে বিবাহ বিচ্ছেদের শিকার হতে দেখেছি। মানুষের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয়, কেমন আচরণ করতে হয় সেই বোধ তৈরি হওয়ার আগেই বিয়ে হয় তার। ফলে শ্বশুরবাড়িতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেনি। সেখানকার লোকজনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক হয়ে উঠেনি। এর ফলে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।

এই থেকে বোঝা যায় বাল্যবিয়ের মানসিক ক্ষতিও কম নয়। শারীরিক ক্ষতি তো আছেই।

একজন কিশোরী যখন ১৮ বছরের আগেই গর্ভধারণ করে তখন সে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগতে পারে। চিকিৎসক বলছেন, অপরিপক্ব দেহে গর্ভধারণের ফলে সন্তানের উপরেও এর প্রভাব পড়তে পারে। মা ও শিশু দুইজনেই ভুগতে পারেন অপুষ্টিতে।

তাহলে ভাবুন, বাল্যবিয়ের সুফল কোথায়? কুফল ছাড়া এর কোনো সুফল নেই।
 
তাই আমাদের সবারই উচিত বাল্যবিয়ে রোধ করা। সবার কাছে বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিকগুলো উপস্থাপন করা যাতে এই বিষয়ে সকলে সচেতন হয়।

প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: কুষ্টিয়া।