ঈদ কাটল ‘দারুণ’

আমি ঢাকায় বাস করলেও ঈদের সময়টা বেশিরভাগ সময় গ্রামেই কাটাই। এবারও গ্রামে পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছি।

বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার মাধ্যমে আমাদের ঈদ উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আমি, আমার ছোট বোন কুহু ও প্রতিবেশি মেয়েরা একসঙ্গে চাঁদ দেখতে বাড়ির সামনে যাই।

চাঁদ দেখতে পেয়ে এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি হয়েছিল। আমরা চিৎকার করে উঠি 'ওই যে চাঁদ' বলে।

এরপর শুরু হয় মেহেদি উৎসব। পাড়ার সব মেয়েদের মেহেদি পরিয়ে দিয়েছি আমি। পাশাপাশি নিজের হাতেও দিয়েছি। মেহেদি দেওয়ার সময় আমরা মেতে উঠি আড্ডায়।

আমার দাদী নানারকম পিঠা বানায়, আমরা সেগুলো খাই। ঈদের দিন সকালে প্রথমে সেমাই খেয়ে মিষ্টিমুখ করি। এরপর গোসল করে নতুন পোশাক পরি।

নতুন পোশাক পরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিছুটা সময় ঘোরাঘুরি করি। আমার ছোট দুই ভাই, বাবা ও দাদার সঙ্গে ঈদগাহে যাওয়ার সময় কিছুটা পথ তাদের এগিয়ে দিয়ে আসি।

এরপর বাড়ির মেয়েরা সবাই মিলে ঘুরতে বের হই। বিকালের দিকে আমরা মেলায় যাই। আমাদের গ্রামে ঈদ মেলা একটি ঐতিহ্য। এই মেলায় গিয়ে আমরা অনেক কিছু দেখেছি। আমার ছোট ভাই শাবী ও শিবু মেলা থেকে টমটম গাড়ি কেনে।

নতুন পোশাক পরা, মজার মজার খাবার খাওয়া ও ঈদ সালামি দেওয়া নেওয়া- সব মিলিয়ে আমার ঈদ এবার দারুণ কেটেছে।

প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।