মাদকাসক্ত বাবার অত্যাচারে বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছে ১৩ বছর বয়সী রায়হান। এখন সে ঈশ্বরদী জুট মিলে কাজ করে।
Published : 29 Nov 2015, 02:52 PM
জুট মিলের গেইটে দাঁড়িয়ে নিজের জীবন, স্বপ্ন ও পরিবার নিয়ে হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় রায়হানের।
ও বলে, বাবা মাদকাসক্ত। নেশার টাকা যোগার করতে ঘরের সব জিনিস বেচে দিত। না পেলে মাকে ধরে মারত।
তাই সে মা রাইমা বেগম ও ছোট বোন আলো খাতুনকে নিয়ে চলে এসেছে ঈশ্বরদীতে।
রায়হান বলে, আমাদের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলায়। আমার বাবা আলম আলী একজন মাদকাসক্ত মানুষ।
"আমি বাড়িতে সব সময় বাবার ভয়ে ভয়ে থাকতাম। এত ভয়ে মানুষ বাঁচে না। তাই মা আর বোনকে নিয়ে চলে এসেছি।"
ওর সঙ্গে মাও মিলে কাজ করে। ছোট বোন আলো একটি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।
রায়হান মিলে প্রতিদিন ১২ ঘন্টা কাজ করে ২০০ টাকা বেতন পায়।
লেখাপড়ার কথা উঠলে রায়হান জানায়, ও সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে।
সে বলে, "আপাতত পড়া বন্ধ রেখেছি। টাকা জমিয়ে আবার স্কুলে ভর্তি হব।
"আমি বড় একজন শিক্ষক হতে চাই।"
কথা হয় রায়হানের মা রাইমা বেগমের সঙ্গে।
তিনি বলেন, স্বামীর অত্যাচারে আর বাড়ি যেতে মন চায় না। ছেলে কাজ করে বলে স্কুলে যেতে পরছে না। তবে মেয়েটাকে ভালোভাবে পড়ালেখা শিখিয়ে বড় করতে চাই।