আমরা যারা স্কুল বা কলেজে পড়ি তাদের প্রায় সবার স্কুলেই নানা রকম সমস্যা আছে। আমি পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ি। আমার স্কুলও তার ব্যতিক্রম নয়।
Published : 20 Dec 2014, 01:29 PM
আমার স্কুলে গ্রন্থাগার বা ব্যবহারিক করার জন্য গবেষণাগারে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নাই। গ্রন্থাগারের সমস্যা নিয়ে আমি প্রথমে আমার শ্রেণিশিক্ষকের সাথে পরে সহকারি প্রধান শিক্ষিকার সাথে কথা বলি কিন্তু এখনো এর কোনো সমাধান হয়নি।
গ্রন্থাগার না থাকার অসুবিধা হচ্ছে শিক্ষার্থীরা সিলেবাসের বাইরের জ্ঞানলাভ করা বা ভাল বইপড়া থেকে বঞ্চিত হয়। আবার দেখা যায় অনেক স্কুলে গ্রন্থাগার থাকলেও তা শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না।
কিন্তু আমরা সবাই জানি বই মানুষের পরম বন্ধু। কিন্তু স্কুলের শিক্ষার্থীরা সেই গ্রন্থাগার থেকেও তা ব্যবহার করতে পারে না। সেটা অনেক সময় ঘটে সঠিক উদ্যোগ না নেওয়ার কারণে।
আবার ব্যবহারিক করার জন্য দেখা যায় যন্ত্রপাতি ঠিকমতো নেই আবার কেমিক্যালও নেই এতে উচ্চশ্রেণির শিক্ষার্থীরা যেমন নবম, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক না করার কারণে অনেক জিনিসই ভালোভাবে জানতে পারে না। যেমন, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান এসব বিষয়ে ব্যবহারিক ক্লাস করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু ব্যবহারিক না করার ফলে শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যা নিয়ে উচ্চ শ্রেণিতে ওঠে কিন্তু তাদের হাতেকলমে কিছুই শেখা হয় না।
এর ফলে আমরা যতই জিপিএ ৫ পাই না কেন, ভাল প্রতিষ্ঠানে জায়গা পাচ্ছি না। শিক্ষিত হচ্ছি ঠিকই কিন্তু তা শুধু নামে মাত্র।
আগে আমরা জানতাম জ্ঞানার্জনের জন্য আমরা শিক্ষা লাভ করি কিন্তু এখন সবাই ছুটছে নম্বরের পেছনে। কেউ দেখছে না যে আমি কতটুকু শিখলাম, সবাই দেখছে আমি কত নম্বর পেলাম! এর কারণ হচ্ছে স্কুলগুলোতে মান সম্পন্ন শিক্ষা দেওয়া হয় না। স্কুলে শিক্ষকরা শিক্ষা দেওয়ার জায়গায় দুর্নীতি করছে। যদি কেউ শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়ে তাহলে সে ভাল ফলাফল করতে পারবে না। এই হচ্ছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা।
আসুন আমরা সবাই মিলে এ পদ্ধতিকে বর্জন করে শুধু সার্টিফিকেট নয়, প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করি। নম্বরকে শুধু নয় মেধাবীদের প্রাপ্য সম্মান দিয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ি।