পড়াশোনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম পাঠ্যবই। পরীক্ষায় এখান থেকে প্রশ্ন আসায় আমরা খুব মনোযোগ সহকারে পড়ি বইগুলো।
Published : 30 Mar 2022, 06:18 PM
শিক্ষা জীবনে এই পাঠ্যবইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে এসকল পাঠ্যবইয়ে পড়াশোনা কেন্দ্রিক জ্ঞান থাকলেও নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে এবং অন্তর আলোকিত করতে আমাদের আরও অনেক বই পড়া উচিত বলে মনে করি।
পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনে শিক্ষার্থীরা সীমাবদ্ধ থাকে তাদের পাঠ্যবই পড়া নিয়ে এবং ধারণা রাখে না বাইরের জগত সম্পর্কে। বিশেষ করে শহরের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভালো ফলাফলের জন্য দিন-রাত পাঠ্যবই পড়তে থাকে, কিন্তু পত্রিকা, টিভি, ইন্টারনেট বা গল্পের বইয়ে থাকে না তাদের দৃষ্টি। পাঠ্যবই কেন্দ্রিক ব্যস্ততা বাইরের কাজে মনযোগী হতে সময় দেয় না।
খবরে একবার দেখেছিলাম শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সাহিত্য-সংস্কৃতি ও খেলাধুলাসহ অন্যান্য ভালো কাজে যুক্ত থাকতে হবে।
আমার এক বন্ধুর মন্তব্যও জানতে চেয়েছিলাম। সে বলছিল, আমাদের প্রায় সারা বছরই পড়াশোনার চাপ থাকে। প্রায় ১০ এরও অধিক পাঠ্যবই পড়তে হয় আমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য। তাই এইসব পাঠ্যবই পড়ার কারণে খুব ব্যস্ত থাকতে হয় যার ফলে বাইরের অন্যান্য কিছু করাটা কঠিন হয়ে পড়ে।
একজন অভিভাবকের সঙ্গেও কথা বলি আমি। তিনি বলছিলেন, "পাঠ্যবইয়ে যেই জিনিসগুলো থাকে, সেগুলো যদি আমরা বিস্তারিত আকারে জানতে চাই, তাহলে অবশ্যই আমাদের কে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি গুগলের সাহায্যে ওই সম্পর্কিত বিস্তর জ্ঞান অর্জন করতে হবে।"
আমাদের উচিত ইন্টারনেটে খবর পড়া, বই পড়া এবং নানান বিষয়ে জানা। আর সাধারন জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা পারি জীবনে পড়ার পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রেও সফল হতে।