ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষণ ছিল পাকিস্তানের দীর্ঘ বঞ্চনার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার নির্দেশনা।
Published : 07 Mar 2022, 02:27 PM
বঙ্গবন্ধুর এই নির্দেশেই একত্রিত হয়েছিল বাঙালি জাতি। আর চুপ করে বসে থাকলে হবে না, এবার শক্ত প্রতিরোধ গড়তে হবে তা বঙ্গবন্ধুর স্পষ্ট করেই উচ্চারণ করেছেন।
এই ভাষণের মাধ্যমে বাংলার মানুষ এক হয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীকে রুখে দিয়েছে নিজের জীবন বাজি রেখে। আর এভাবেই স্বাধীন হয় দেশ। পৃথিবীর মানচিত্রে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ।
এই ভাষণ শুনলে আমার মনে হয় দেশের জন্য আবারো যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি। দেশের সঙ্গে যত অন্যায় হচ্ছে তা রুখে দেই। বজ্র কণ্ঠের ভাষণ অনুপ্রেরণা হয়ে ভেসে বেড়ায় এখনো।
বঙ্গবন্ধু বলেছেন, “আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ্।”
অর্থাৎ প্রশ্নটা যখন মুক্তির, বাঁচার আর অধিকারের তখন বিন্দু মাত্র ছাড় নয়। যার যা কিছু আছে তা নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। মাতৃভূমির এক ইঞ্চি মাটি রক্ষার দায়িত্বটা আমাদেরই। এই ভাষণ বার বার তা স্মরণ করিয়ে দেয়।