'বৈশ্বিক মহামারি' করোনাভাইরাসের ভয়াল ছোবলের কাছে উন্নত রাষ্ট্রগুলোও নাস্তানাবুদ হয়ে গেছে।
Published : 18 May 2020, 11:09 AM
বাংলাদেশও লড়াই করছে এর সাথে। সবকিছুর পর একটি জিনিসই সামনে আসছে তা হলো জনসচেতনতা। প্রথম দিকে মানুষ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চললেও দিন যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আর মানছে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, নতুন এই করোনাভাইরাস হয়ত নির্মূলই হবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর সঙ্গে মানুষকে লড়াই করে যেতে হবে। সক্ষমতা অর্জন করতে হবে রাষ্ট্রগুলোকে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। আমি মনে করি এরজন্য সাধারণ মানুষের দায় কম নয়। অনেকে তো মানতেই চাচ্ছে না করোনাভাইরাস বলে কিছু আছে। তারা এটাকে রূপকথার গল্প বলছে।
শারীরিক দূরত্ব উপেক্ষা করে মানুষ আড্ডা দিচ্ছে, বাজারে যাচ্ছে, মসজিদে যাচ্ছে। 'দোকান মালিক সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে' ঈদকে সামনে রেখে ১০ মে থেকে 'সীমিত পরিসরে' দোকানপাট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দেয় সরকার। সঙ্গে যদিও রয়েছে বেশকিছু শর্ত। কিন্তু ফেইসবুকে যেসব ছবি ঘুরে বেড়াতে দেখছি তা দেখে রীতিমত শিউরে উঠতে হচ্ছে। এবার ঈদ উদযাপন না করলে যেন চলবেই না।
এভাবে চলতে থাকলে হয়ত গোটা বাংলাদেশই একদিন করোনাভাইরাসের দখলে চলে যাবে। আমাদের সচেতনতাই পারে করোনাভাইরাসকে দুর্বল করে দিতে।