তেসরা মে। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। একজন গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে দিনটি আমার জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। শুভেচ্ছা রইলো আমার মতো সব সাংবাদিকদের প্রতি।
Published : 03 May 2016, 02:55 PM
সংবাদ মাধ্যমের গুরুত্ব নিয়ে নতুন করে বলার কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না। সম্প্রতি কোনো ঘটনাকে যদি আমরা উদাহরণ হিসেবে দেখাতে চাই তাহলে অনায়াসে মোবাইল ফোনের সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিটির প্রচারণার কথা বলতে পারি।
এ নিয়ে সরকারের ঘোষণা, প্রয়োজনীয়তা, করণীয় দেশের দুর্গম এলাকাতে পৌঁছাতে দেরি হয়নি। সবই সম্ভব হয়েছে গণমাধ্যমের কল্যাণে। তাই রাষ্ট্র গঠন, সঠিক পরিচালনা, দেখভাল সব কিছুতেই গণমাধ্যম জড়িত। সরকারের দোষগুণ তুলে ধরে, জনগণের আবেদন, দাবি, ক্ষোভ প্রকাশ পায় গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে। গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র একে অপরের পরিপূরকও বটে।
তবে এই মাধ্যমের স্বাধীনতা কতটুকু সুরক্ষিত এ প্রশ্নও উঠে আসছে সংবাদ মাধ্যমেই।
জার্মানির সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ‘বিশ্ব জুড়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিপন্ন, সাংবাদিকদের ধরপাকড় ও নিপীড়নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে৷
‘বিশ্বের মানচিত্র দেখলেই বোঝা যাবে ম্যাপের সবুজ অংশগুলিতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মোটামুটি সুরক্ষিত হলেও, বিশ্বের একটি বড় অংশ লাল, অর্থাৎ এখানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ কিংবা বিপন্ন।’
১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত ‘ডিকারেশন অন প্রমোটিং ইন্ডিপেন্ডেন্ট এন্ড প্লুরালিস্টিক মিডিয়া’ শীর্ষক সেমিনারের উপর ভিত্তি করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৯৩ সালের ২০ ডিসেম্বর ৩ মে কে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
এর উদ্দেশ্য স্বাধীন ও মুক্ত সাংবাদিকতার মূল আদর্শ চিহ্নিত করে বিশ্বে স্বাধীন, অবাধ, শক্তিশালী গণমাধ্যম ও তথ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্রের অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
দিবসটিতে সাংবাদিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের পাশাপাশি অধিকার সম্পর্কেও সচেতন করা হয়ে থাকে।
হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নিয়ম মেনে আমরা ক্ষুদে সংবাদ কর্মীরা নিয়মিত নিজের নিরাপত্তা বজায় রেখে মাঠ পর্যায়েও কাজ করি। কিন্তু আমাদের আরও নিরাপত্তা, স্বাধীনতা যদি থাকতো তাহলে হয়তো সমাজের আরও অসঙ্গতি আমরা তুলে ধরতে পারতাম।