মে দিবস
‘এরপরও অভাবের কারণে আমাদের দেশের অনেক শিশু কাজে যোগ দেয়। কখনো কখনো তারা আট ঘণ্টার বেশি সময় কাজ করে।’
Published : 01 May 2024, 04:51 PM
মহান মে দিবসে নিজেদের অধিকার আদায়ের দাবিতে যে সকল শ্রমিকরা লড়াই করেছিল তাদের প্রতি আমার অসংখ্য শ্রদ্ধা।
১৮৮৬ সালের পহেলা মে আমেরিকার শিকাগোতে হাজার হাজার শ্রমিক রাস্তায় নেমে এসেছিলেন আট ঘণ্টা কর্ম দিবসের দাবিতে।
শ্রমিকদের সে দিনের আত্মত্যাগকে স্মরণ করতে প্রতি বছরের পহেলা মে পালন করা হয় বিশ্ব শ্রমিক দিবস। এই দিনটি আমাদের শেখায়, অধিনস্ত শ্রমিকরা যতক্ষণ না পর্যন্ত নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা শোষিত ও নির্যাতিত হতে থাকবে।
শ্রমিকেরা নিজেদের অধিকার আদায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলেও, আড়ালে রয়ে গেছে শ্রমজীবী শিশুরা। তাদের অধিকার আদায়ে সমাজ যেন সচেতন নয়, তেমনি সচেতন নয় তারা নিজেরাও। যেখানে শিশুশ্রমই নিষিদ্ধ হওয়া উচিত সেখানে অবশ্য শ্রমজীবী শিশুর অধিকার নিয়ে আলোচনা করাটাই দুঃখজনক।
এরপরও অভাবের কারণে আমাদের দেশের অনেক শিশু কাজে যোগ দেয়। কখনো কখনো তারা আট ঘণ্টার বেশি সময় কাজ করে। শহর বা গ্রামের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে গেলে দেখা যায়, পড়ালেখা ফেলে অনেক শিশুরাই কাজ করছে।
শহর হোক কিংবা গ্রাম, শ্রমজীবী এসব শিশুরা নিজেদের বয়সের চেয়ে তুলনায় বেশি পরিশ্রম করার পরও যথাযথ পারিশ্রমিক পায় না। কলকারখানা, হোটেল, বাড়ি-ঘর, মুদি দোকান, সবজির দোকানসহ বিভিন্ন জায়গায় অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজও করে তারা৷
এই শিশুদের দেখার যেন কেউ নেই৷ তাদের কথা ভাবেই বা কারা?
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: মৌলভীবাজার।