আমাদের সমাজে বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় মেয়েদের ত্বকের রং নিয়ে নানা নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়।
Published : 06 Jan 2025, 10:04 PM
বর্ণবাদ অনেক আগে থেকেই এই পৃথিবীতে বিদ্যমান, যা এখনও অনেকের জীবনে কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে যে কোনো বয়সের মানুষই এর শিকার হতে পারে।
কখনো অন্যের গায়ের রং, কখনো জাতিগত পরিচয় কিংবা কোনো বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে অন্যকে আঘাত করাকে আমি বর্ণবাদী আচরণ হিসেবে শনাক্ত করে থাকি। এমনকি অন্যকে হাসি-তামাশার মাধ্যমে আঘাত করলেও সেটা বর্ণবাদী আচরণ বলে মনে করি।
আমাদের সমাজে বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় মেয়েদের ত্বকের রং নিয়ে নানা নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়। অনেকেই মনে করে মেয়েদের গায়ের রং সাদা না হলে তাদের সুন্দর বলা যায় না। এই ধারণা মেয়েদের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। তারা তখন নিজেদের মূল্যহীন ভাবতে পারে। ফলে অনেক মেয়েই নিজেকে সবার মাঝ থেকে আলাদা করে ফেলে।
বর্ণবাদী আচরণ থেকে রেহায় পায় না শিশুরাও। গায়ের রং এবং জাতিগত পরিচয় নিয়ে তাদেরও নেতিবাচক মন্তব্যের মুখোমুখি হতে হয়। এই ধরনের আচরণ দেখে অনেক শিশু নিজেও বর্ণবাদী হয়ে উঠতে পারে।
আমি মনে করি, সমাজ থেকে বর্ণবাদ দূর করতে চাইলে পরিবার, স্কুল-কলেজ, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং সমাজের সবাইকেই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শৈশবেই শিক্ষা দিতে হবে যে, মানুষের প্রতি আচরণ কেমন হবে সেটা জাতিগত পরিচয় বা গায়ের রং দেখে আলাদা আলাদা আচরণ করা যাবে না।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।