‘এখন আর আগের মতো জোনাকি পোকা দেখতে পাওয়া যায় না। আমি এই বিষয়ে কয়েকটি নিবন্ধ পড়ে জেনেছি, আলোক দূষণের কারণে জোনাকি পোকা কমে যাচ্ছে বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন।’
Published : 23 Apr 2024, 05:45 PM
শৈশবে যখন গ্রামে যেতাম তখন সবচেয়ে বেশি আনন্দ হতো রাতে। কারণ লোডশেডিং হলেই বাড়ির ছোট-বড় সবাই মিলে ঘরের বাইরে চলে যেতাম। তখন প্রকৃতির বাতাসে প্রাণ জুড়িয়ে যেত। আর জোনাকির আলো জুড়িয়ে দিত আমাদের মন। রাতের অন্ধকারে মিট মিট করে জ্বলতে থাকত জোনাকি পোকা।
কিন্তু এখন আর আগের মতো জোনাকি পোকা দেখতে পাওয়া যায় না। আমি এই বিষয়ে কয়েকটি নিবন্ধ পড়ে জেনেছি, আলোক দূষণের কারণে জোনাকি পোকা কমে যাচ্ছে বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন। রাতের আঁধারে আলো জ্বালা এ পতঙ্গের জন্য একটি বড় শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃত্রিম আলো।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কতটা আলো কতক্ষণ ধরে জ্বলবে, তা নির্ভর করে কী পরিমাণ অক্সিজেন জোনাকির শরীর সরবরাহ করবে তার ওপর। এই আলোর সংকেতই হল জোনাকির প্রেমের ভাষা।
প্রজাতির পুরুষেরা অপরপক্ষকে এই আলো জ্বেলেই সংকেত দেয়। মেয়েরাও তাতে সাড়া দেয় ছন্দবদ্ধ আলোর সংকেতে। কিন্তু এই যোগাযোগের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ঘরবাড়ি, সড়কবাতি, বিলবোর্ডের উজ্জ্বল আলো।
আর নগরের আলো আকাশে যে দ্যুতি তৈরি করে তার প্রভাব অনেক দূর পর্যন্ত পড়ে। এই দ্যুতি পূর্ণিমার আলোর চেয়েও প্রখর হয়। জোনাকির আলোর সংকেত তাতে হারিয়ে যায়।
আলোক দূষণ কমিয়ে আনা গেলে, জোনাকি পোকারা হয়ত আবারো আমাদের চারপাশে ভিড় করবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: বাগেরহাট।