বাল্যবিয়ের ফলে মেয়ে এবং ছেলে উভয়ের উপরই প্রভাব পড়ে, তবে মেয়েরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
Published : 22 Dec 2022, 11:32 AM
আইন অনুযায়ী মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ এবং ছেলেদের ২১ বছর। তারপরও অনেক সমাজ বাল্যবিয়ে নামের সামাজিক ব্যাধিকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
বাল্যবিয়ের ফলে মেয়ে এবং ছেলে উভয়ের উপরই প্রভাব পড়ে, তবে মেয়েরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশিরভাগ বাল্যবিয়েতে দুজনের মধ্যে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকে।
বিশেষত মেয়েরাই বাল্যবিয়ের শিকার হয় বেশি। কারণ অসচেতন মানুষ মনে করে মেয়েরা সমাজের বোঝা। মেয়েদের পড়াশোনা করালে তারা ভবিষ্যতে কিছু করতে পারবে না- এমন সেকেলে ধারণা থেকে ওই পরিবারগুলো মেয়েদের বাল্যবিয়ে দিয়ে দেয়। তারা মনে করে, বিয়ে দিয়ে দেওয়ার অর্থ তার ভবিষ্যত গড়ে দেওয়া।
দরিদ্রতার জন্যই বাল্যবিয়ের ঘটনা বেশি ঘটে। তবে অনেক সমাজে নানা কুসংস্কার এখনো বিদ্যমান। বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছালেই মেয়ের পরিবারকে প্রতিবেশিদের অনেকেই চাপ দিতে থাকে বা নানা কথা শোনায়। মেয়ে বড় হয়ে গেছে, তার বিয়ে হচ্ছে না কেন ইত্যাদি নানা কটু কথাও শোনানো হয়।
একটি কিশোরী যখন পরিবার ও সমাজ থেকে বিয়ে নিয়ে নানা কথা শুনতে থাকে তখন পড়াশোনায় তার মনযোগ বিচ্যুত হবে, এটাই স্বাভাবিক। মেয়েটির মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও ভাবে না কেউ।
বাল্যবিয়ে শিক্ষাজীবন যেভাবে নষ্ট করে দেয় ঠিক তেমনি একটি কিশোরীর জীবনকে পুরোপুরি নষ্ট করে দিতে পারে। সুতরাং সবাই মিলে বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে হবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: বাগেরহাট।