শুক্রবার সকাল। ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করেই রওনা হলাম লালন শাহের মাজারের উদ্দেশ্যে।
কুষ্টিয়া শহরেই আমার বাসা, তাই মাজারে পৌঁছাতে আমার মাত্র ২০ মিনিট সময় লাগল। সেখানে পৌঁছেই চোখে পড়ল সাধক লালন শাহের মাজার বা লালনের আখড়া।
লালন শাহ কুমারখালীর ছেঁউড়িয়াতে আশ্রয় লাভ করেন এবং পরবর্তীতে ছেঁউড়িয়াতে মৃত্যুর পর তার সমাধিস্থলেই এক মিলন ক্ষেত্র বা আখড়া গড়ে ওঠে।
ফকির লালন শাহের শিষ্য এবং দেশ বিদেশের অসংখ্য মানুষ এই আখড়াতেই বিশেষ তিথিতে সমবেত হয়ে উৎসবে মেতে ওঠে। এই মরমী লোককবি নিরক্ষর হয়েও অসংখ্য লোকসংগীত রচনা করেছেন।
বাউল দর্শন এখন কেবল দেশে নয়, বিদেশের ভাবুকদেরও কৌতুহলের উদ্রেক করেছে।
ঘুরে দেখলাম ২০০৪ সালে নির্মিত আধুনিক মানের অডিটোরিয়ামসহ একাডেমি ভবন। এরপর লালন শাহের বেশ কয়েকজন ভক্তের সঙ্গে কথা বলে তার সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানলাম।
এরপর চলে গেলাম লালন জাদুঘরে। যেখানে গিয়ে দেখলাম লালনের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, বিভিন্ন লেখা ও ছবি। সেখানে আমি নিজেও দাঁড়িয়ে ছবি তুললাম।
এক বেলা কাটিয়ে এরপর ফিরে আসলাম বাড়ি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: কুষ্টিয়া।