এই মহামারি প্রতিরোধে অনেকেই অনেক পদক্ষেপ নিচ্ছেন। ঠিক এ সময়েই গাড়ির যন্ত্রাংশ দিয়ে ভেন্টিলেটর তৈরির চেষ্টা করছে একদল আফগান কিশোরী। ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে।
সাধারণত রোগীর ফুসফুসের কার্যক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটলে ভেন্টিলেটর ব্যবহার করা হয়। যন্ত্রটি শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজ করে দেয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনাভাইরাস আক্রান্তের প্রায় ৮০ ভাগ হাসপাতালের চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ্য হয়ে উঠে।
তবে গুরুতর রোগীর ক্ষেত্রে ফুসফুস কর্মক্ষমতা হারালে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখতে হাসপাতালে ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হয়।
ভেন্টিলেটর অত্যন্ত ব্যয়বহুল। প্রতিটি যন্ত্রের দাম প্রায় ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার বেশি।
১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী পাঁচ সদস্যের ‘আফগান অল গার্লস রোবট টিম’ ভেন্টিলেটর বানানোর কাজ করছে বলে জানিয়েছে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।
কিশোরীরা আশা করছে, তারা সফলভাবে ভেন্টিলেটর তৈরি করে আফগান সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পর তা বাজারে ছাড়তে পারবে। প্রাথমিকভাবে যার বাজারমূল্য ধরা হয়েছে মাত্র ৩০০ ডলার বা বর্তমান মুদ্রা মূল্যে ২৫ হাজার টাকার মতো।
বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে ভেন্টিলেটর তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিশোরীদের ভেন্টিলেটর তৈরিতে অর্থ সহায়তা করেছে আফগানিস্তানের একটি প্রযুক্তি কোম্পানি।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক রোয়া মাহবুব বলেন, ‘‘দলটি স্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির এক দল বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির একটি নকশার ভিত্তিতে প্রাথমিক যন্ত্র তৈরির কাজ করছে৷’’
ডয়েচে ভেলের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কিশোরীদের তৈরি করা ভেন্টিলেটর কোভিড-১৯ মোকাবেলাকে আরও গতিশীল করবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।