তার অনেক অনেক বছর পরে, আঠারো শতকে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের বিকাশকালে এটি পূর্ণতা পেয়েছে বলা যায়।
একটি রাষ্ট্রে প্রত্যেক নাগরিকের কিছু মৌলিক অধিকার থাকে, আর সেগুলোই মানবাধিকার। যেমন, জীবনধারণ ও বেঁচে থাকার অধিকার, অন্ন-বস্ত্র-শিক্ষা-আশ্রয়ের অধিকার। আরও আছে মতামত প্রকাশের অধিকার, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের অধিকার ও আরও অনেক কিছু।
মানবাধিকার সব জায়গায় এবং সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মানবতাকে প্রচণ্ডভাবে আঘাত হানে। ধ্বসে পড়ে মানবাধিকারের অঙ্গীকার।
এর পরে, ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মানবাধিকার সনদ বা সার্বজনীন মানবাধিকার সংক্রান্ত ঘোষণা অনুমোদিত হয়। এটিই মানবাধিকারের দলিল হিসেবে পরিচিত।
পাশাপাশি মানবাধিকার সম্পর্কে সকলকে সচেতন করতে ও মানবাধিকার সনদের অনুমোদনকে স্মরনীয় করে রাখতে মানবাধিকার সনদ অনুমোদনের দিনটিকে জাতিসংঘ মানবাধিকার দিবস পালন করা হয়।
১৯৫০ সালের চার ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তিনশ ১৭তম পূর্ণ অধিবেশনে সদস্যভূক্ত দেশসহ আগ্রহী সংস্থাগুলোকে এ দিনটি তাদের মতো করে উদযাপনের আহ্বান জানানো হয়।
এরপর থেকে ১০ ডিসেম্বর সারা বিশ্বে মানবাধিকার দিবস পালিত হয়ে আসছে।