ছোট বেলা থেকেই জেনে এসেছি ধূমপান মানেই বিষ পান। আগে এই কথার অর্থ না বুঝলেও বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বুঝেছি কেন সিগারেটকে বিষের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
আর সিগারেট মানেই তামাক। তামাক সেবন ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী। তামাক সেবনে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন মারাত্মক রোগ দেখা দেয়। আমার ধারণা সচেতনতার অভাবে তামাকজাত পণ্য ব্যবহারকারী সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
আমি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের একটি প্রতিবেদনে পড়েছি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারকারী পরিবারগুলোর মাসিক খরচের ৫ শতাংশ তামাক ব্যবহারে এবং ১০ শতাংশ তামাক ব্যবহারজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যয় হয়। ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যুর পরিমাণ বছরে ৮০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে এবং এই মৃত্যুভারের ৮০ ভাগই বহন করতে হবে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে।
আরও বলা হয়েছে, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এই লক্ষ্য অর্জনে বড় হুমকি তামাক।
শুধু ধূমপায়ী ব্যক্তিই নন, তার আশেপাশে যারা থাকেন তারাও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রতি বছর ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় তামাক গ্রহণের কারণে। এর মধ্যে ১২ লাখ মানুষই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার।
আমি মনে করি, তামাকের কুফল আমরা জানি না। এর কুফল সম্পর্কে আমাদের জানা জরুরি।