’কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বাধীন সংবাদিকতা চর্চার জন্যও সহায়ক হবে, এমনটাও মনে করা হচ্ছে।’
Published : 16 Mar 2024, 05:25 PM
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ বর্তমান বিশ্বের অন্যতম আলোচিত একটি বিষয়। এটি একটি ‘ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল’ প্রযুক্তি, যা মানুষের মতো ভাবতে ও ফলাফল দিতে পারে।
বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমেও ব্যবহার হচ্ছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
কিছুদিন আগেই দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন উপস্থাপকের মাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। এর আগে চীন ও ভারতেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির এমন ব্যবহার ঘটেছিল।
রয়টার্স ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব জার্নালিজমের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক ব্লগে বলা হয়, আমেরিকা, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় ৪০টির অধিক সংবাদ সংস্থা বিভিন্নভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছে।
সংবাদমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের উপর ‘জেনারেটিং চেঞ্জ: এ গ্লোবাল সার্ভে অব হোয়াট নিউজ অর্গানাইজেশনস আর ডুয়িং উইথ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ শিরোনামে একটি জরিপ পরিচালনা করে ‘জার্নালিজম এআই’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
৪৬টি দেশের ১০৫টি বার্তাকক্ষের ১২০ জন সম্পাদক, সাংবাদিক ও প্রযুক্তিবিদ এই জরিপে অংশ নেন।
তাদের মধ্যে শতকরা ৭৫ জন জানিয়েছেন তারা সংবাদ সংগ্রহ, সম্পাদনা ও প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো না কোনোভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বাধীন সংবাদিকতা চর্চার জন্যও সহায়ক হবে, এমনটাও মনে করা হচ্ছে।
জার্মানের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার মালিক ম্যাথিয়াস ডোপফনার মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমতা স্বাধীন সাংবাদিকতা চর্চার পক্ষে সহায়ক হবে। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক ব্লগে তার এই মন্তব্যটি পাওয়া যায়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।