পশ্চিম পাকিস্তানের নানাবিধ বঞ্চনার শিকার হয়ে বাঙালি জাতি যখন মুক্তির উপায় খুঁজছিল সে সময় মুক্তির দিশারী হয়ে আবির্ভূত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল এক জনসভায় ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য তৈরি হওয়ার বার্তা দেন।
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে নবম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান পাঠ্যবইতে বলা আছে, বঙ্গবন্ধু তার বক্তব্যে পাকিস্তান রাষ্ট্র ধারণার ২৩ বছরকে ‘বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস’ বলে অভিহিত করেন।
এই ভাষণে তিনি পাকিস্তানি শাসকদের সকল প্রকার শোষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আহ্বান জানান। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর আগ্রাসী অবস্থান ও টহলের মধ্যেও তিনি সুকৌশলে জাতিকে গেরিলা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি জাতিকে ‘ঘরে ঘরে দুর্গ’ গড়ে তোলার কথা বলেন।
তিনি বলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম/ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যা শুরু করলে গ্রেপ্তারের পূর্বে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে হানাদার বাহিনীকে রুখে দেয় বাঙালি জাতি। দীর্ঘ নয় মাসের লড়াইয়ে বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে।
বঙ্গবন্ধুর যে ভাষণে একত্রিত হয়েছিল পুরো জাতি ঐতিহাসিক সেই ৭ই মার্চের এই ভাষণকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো ২০১৭ সালে ‘ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: কুড়িগ্রাম।