বিশ্বজুড়ে প্রতি তিনজন শিশুর একজন শিশু সীসার বিষক্রিয়ায় মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি শিশুর রক্তে সীসার মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে পাঁচ মাইক্রোগ্রামের বেশি।
২০২০ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ইউনিসেফ। প্রতিবেদনটি থেকে আরো জানা যায়, সীসার বিষক্রিয়ায় মারাত্মকভাবে আক্রান্ত শিশুদের প্রায় অর্ধেকের বসবাস দক্ষিণ এশিয়ায়। যার মধ্যে আনুমানিক তিন কোটি ৫৫ লাখ শিশু বাংলাদেশের। সীসার বিষক্রিয়ায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকা দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে দেশটি।
সীসার বিষক্রিয়ার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় শিশুরা, বিশেষ করে যাদের বয়স পাঁচ বছরের কম। এটি শিশুদের মস্তিষ্কের অপূরণীয় ক্ষতি করে। শিশুদের মস্তিষ্ক পুরোপুরি বিকশিত হওয়ার আগেই যদি সীসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয় তবে তারা সারাজীবনের জন্য স্নায়বিক, মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে পারে। সীসার বিষক্রিয়ার কারণে বাংলাদেশে আইকিউ হ্রাস পাওয়াজনিত ক্ষতির পরিমাণ দেশটির মোট জিডিপির পাঁচ দশমিক নয় ভাগ।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যেসব শিশুর বাবা-মায়ের পেশা সীসার সঙ্গে যুক্ত তারা অনেক সময় নিজের সঙ্গে করে সীসা মিশ্রিত ধুলা নিয়ে আসেন। এর থেকে শিশুরা সীসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। আবার সীসাযুক্ত পাইপ ব্যবহারের ফলে পাইপে থাকা সীসা খাবার পানির মাধ্যমে শিশুর দেহে প্রবেশ করতে পারে।
মশলা কসমেটিকস, খেলনা এবং অন্যান্য ভোগ্যপণ্যে সীসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব থেকেও শিশুরা আক্রান্ত পারে। সীসার বিষক্রিয়া থেকে শিশুদের রক্ষা করতে পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই। বাংলাদেশের সরকারসহ সর্বসাধারণকে এ বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: ঢাকা।