‘ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ।’
Published : 16 Mar 2024, 06:35 PM
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার শেখ পরিবারে জন্ম নেন। ছোট বেলায় সবার কাছে ‘খোকা’ নামে পরিচিত হলেও, বড় হয়ে বাংলার নিপীড়িত মানুষের কাছে তিনি হয়ে উঠেন ‘বঙ্গবন্ধু’।
শৈশবে এক বুড়িকে শীতে কাঁপতে দেখে নিজের গায়ের চাদর দেওয়া, বন্ধুকে ছাতা দিয়ে নিজে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফেরা ও বন্ধুদের খাওয়ানোর মতো ঘটনা চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বইতে পড়েছিলাম।
বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্নজীবনী’ বইটি থেকে তার শৈশব, কৈশোর ও তারুণ্যের নানা ঘটনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যায়।
ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ। ১৯৩৭ সালে মুসলিম সেবা সমিতির হয়ে দরিদ্র ছাত্রদের জন্য চাল তোলাসহ নানা ভাবে তার মানব সেবা শুরু হয়।
দুরন্তপনাতেও কম ছিলেন না তিনি। কেউ চাল না দিলে তার উপর জোর করতেন বলেও উল্লেখ আছে তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে। তবে দরিদ্র ও নিপীড়িত মানুষের হয়েই বঙ্গবন্ধু এমন জোর খাটাতেন।
খেলাধুলা এবং ব্রতচারীতেও ভালো ছিলেন জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান। ফুটবল, ভলিবল ও হকি খেলতেন তিনি। খবরের কাগজ পড়ার অভ্যাসও তার ছিল ছোটবেলা থেকেই। খবরের কাগজে দেশের দুর্দশার কথা পড়ে এই অবস্থা পাল্টানোর জন্য ভাবতেন।
১৯৩৮ সালে শেখ মুজিবের স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে আসেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা ফজলুল হক এবং শ্রমমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। সেই অনুষ্ঠান আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী নিয়ে কাজ করেন শেখ মুজিব। এখানেও তার সাম্যবাদীতার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি হিন্দু-মুসলিম সবাইকে নিয়ে দল গঠন করেন।
সেই অনুষ্ঠানে স্কুলের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরার মতো সাহস কেউ সঞ্চয় করতে পারছিল না। তখন এগিয়ে আসেন শেখ মুজিব। দুই নেতার সামনে স্কুলের নানাবিধ সমস্যা তুলে ধরেন তিনি।
এরপর থেকেই তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সান্নিধ্য পান আর ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়েন সক্রিয় রাজনীতিতে। সেই মুজিবই একদিন হয়ে উঠেন বাঙালি জাতির পিতা।
এই মহান নেতার জীবন থেকে শিশুদের শেখার আছে মানবিকতা, সাহসিকতা আর অসাম্প্রদায়িকতার মতো গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলী।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।