"আমরা যুদ্ধ দেখিনি, একটি স্বাধীন দেশে জন্মেছি। কিন্তু যারা প্রাণের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তাদেরকে কখনো ভোলা যাবে না।"
Published : 26 Mar 2024, 09:31 AM
আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীন সার্বভৌম স্বদেশ বিনির্মাণের ৫৩তম বার্ষিকীতে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার এই দিনটি উদযাপন করছে গোটা জাতি।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন শেষ হওয়ার পরই শুরু হয় পাকিস্তানি শাসনের খড়গ। দুই যুগ ধরে তাদের বৈষম্য আর বর্বরতার শিকার বাঙালি জাতি ক্রমেই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
স্বাধীনতাকামী বাঙালিকে শেকল ভাঙার মন্ত্র শেখানো শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে ওঠেন বাংলার মানুষের ভালোবাসার বঙ্গবন্ধু।
৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) হাজির হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সরাসরি ডাক দেন প্রতিরোধ ঘাঁটি গড়ে তোলার। যার যা কিছু আছে তা নিয়েই প্রস্তুত থাকতে বলেন তিনি।
২৫ মার্চ কালরাতে নিরীহ, ঘুমন্ত বাঙালির উপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সশস্ত্র আক্রমণ শুরু হয়। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে আটকের আগেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করে দেশবাসীর উদ্দেশে একটি তারবার্তা পাঠান।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক পৌঁছে যায় বাঙালির কানে কানে। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। তা সফল পরিণতি পায় নয় মাস পর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে।
আমরা যুদ্ধ দেখিনি, একটি স্বাধীন দেশে জন্মেছি। কিন্তু যারা প্রাণের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তাদেরকে কখনো ভোলা যাবে না।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।