সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় সন্ধান পাওয়া দুইশ বছরের পুরনো ছোট সমুদ্রগামী পাল তোলা জাহাজটি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে।
২০১২ সালে জুনের শেষ সপ্তাহে সৈকতের অব্যাহত ভাঙনে বালু ক্ষয়ের ফলে কুয়াকাটা সৈকতের ঝাউবাগান সংলগ্ন বেলাভূমের নিচে স্থানীয় জেলেরা এই জাহাজটি দেখতে পায়। ধারণা করা হচ্ছে, দুইশ বছরের আগে রাখাইনরা এই ছোট জাহাজে করেই কুয়াকাটায় এসে বসতি গড়েছিল। কালের বিবর্তনে রাখাইনদের নানা স্মৃতি হারিয়ে গেলেও জাহাজটি এ অঞ্চলের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে।
৭২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৪ ফুট প্রস্থ এবং ১০ দশমিক ছয় ফুট উঁচু এই জাহাজটি ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে তার মূল আদলেই স্থায়ভাবে সংরক্ষণ করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার করে কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন বেড়িবাঁধের পাশে একটি টিনশেডর নিচে সংরক্ষণ করা হয়।
ছোট এই জাহাজটি জারুল কাঠের তৈরি। কাঠের পুরত্ব সাড়ে ছয় সেন্টিমিটার। এটি কাঠ, লোহা ও তামার পাত দিয়ে তৈরি। জাহাজটি বালুর নিচ থেকে তোলার কাজে নগরবাড়ি থেকে ১০ জন দক্ষ শ্রমিক ছাড়াও ৪২ জনের একটি শ্রমিকদল কাজ করেছে।
স্থানীয়ভাবে এ জাহাজটিকে ‘সোনার নৌকা’ বলা হয়। কারণ এর বাইরের আবরণ তামার পাতে মোড়ানো ছিল বলে মানুষের মুখে মুখে এই নামটিই ছড়িয়ে যায়।
রাখাইনদের দাবি এ জাহাজটি তারা দুইশ বছর আগে ব্যবহার করেছে। মতান্তরে সাধু সওদাগরদের ধান-চালের সওদার কাজে ব্যবহৃত নৌকা। কেউ কেউ বলে থাকে পর্তুগীজদের ব্যবহৃত পাল তোলা ছোট্ট জাহাজ।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: পটুয়াখালী।