ঈদে গ্রামে বেড়াতে গিয়ে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই খবরে শিরোনাম হয়।
২০১৩ সালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পাবনার সুজানগর উপজেলায় দাদা বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ঈদের দিন পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় তিন শিশুর। তাদের বয়স ৫, ৭ ও ৮।
২০১৯ সালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দাদার বাড়ি এসে পানিতে ডুবে আট বছর বয়সী দুই শিশুর মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ৪০টি শিশুর মৃত্যু হয় পানিতে ডুবে। জনসংখ্যার অনুপাতে এই সংখ্যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। এই তথ্য ওঠে এসেছে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস, জন হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল ইনজুরি রিসার্চ ইউনিট, দি সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বা সিআইপিআরবি এবং আইসিডিডিআরবি'র এক যৌথ গবেষণায়।
২০২০ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলছে, বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর একটি বড় কারণ পানিতে ডুবে মৃত্যু। আর বন্যা ও দুই ঈদের সময় সব চেয়ে বেশি শিশু পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে বলে এক গবেষণায় দেখা গেছে।
২০২১ সালে বাংলাদেশের প্রস্তাবে ২৫ জুলাই আন্তর্জাতিকভাবে ‘পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ’ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। গৃহীত প্রস্তাবে পানিতে ডুবে মৃত্যুকে একটি ‘নীরব মহামারী’ হিসেব স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রস্তাবটি গ্রহণ করে বলা হয়, পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি এবং জাতীয় পদক্ষেপকে উৎসাহিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রস্তাবে পানিতে ডুবে মৃত্যু ঠেকাতে এ পদক্ষেপটির সাথে টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত বৈশ্বিক কাঠামোগুলোর সংযোগের কথাও বলা হয়েছে।