আমার পরিচিত এক ছোট বোন তাসফিন আক্তার নাভাও তেমন একজন স্বেচ্ছাসেবী। দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে যখন বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর মিছিল তখন মাঠে ঘাটে সতর্কতামূলক লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করছে তের বয়সী নাভা। প্রচার করছে স্বাস্থ্য সুরক্ষার নানা বার্তা। দেশ ও মানুষের জন্য কিছু করার তীব্র বাসনা থেকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হয়ে কাজ করছে সে।
নাভা বলছিল, স্বেচ্ছাসেবক হতে হলে বয়স কোনো বাধা হতে পারে না। যে কোনো বয়সেই সেবামূলক কাজ করা যায়, যদি নিজের ইচ্ছা আর আগ্রহ থাকে। এই কাজে যখন আমি মাঠে নেমেছি তখন আমাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছিল যেমন বাইরে বের হলে আক্রান্ত হতে পারি, নিজের নিরাপত্তা কতটুকু নিচ্ছি, এতটুকু বয়সে কেন এত বাইরে যাচ্ছি। তারপরও অনেকে অনেক ভালো কথাও বলেছে, উৎসাহ দিয়েছে।
তার মা-বাবা তাকে যথেষ্ট উৎসাহ দেন। পড়াশোনা ও নিজের সুরক্ষা ঠিক রেখে তার সব ভালো কাজে পরিবারকে পাশে পায় সে।
নাভা একজন ভালো স্কেটার হতে চায় এবং সে দেশের বাইরে খেলতে যেতে চায়।