পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের ভারসাময় রক্ষায় বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। বৃক্ষ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক কার্বনডাই-অক্সাইড শোষণ করে নেয় এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখে। কিন্তু প্রতিনিয়ত বৃক্ষনিধন হচ্ছে। একটি গাছ কাটার পরিবর্তে আরেকটি গাছ লাগানোর চর্চাটাও আমাদের মধ্যে নেই।
আমরা যখন পরিবেশের সঙ্গে অন্যায় করছি, তখন পরিবেশ যে আমাদেরকে ছাড় দিবে তা কিন্তু নয়। এর প্রভাবটা আমাদের উপরই আসবে। যে কারণে বেড়ে যাচ্ছে তাপমাত্রা।
বিবিসি বাংলা বিভাগের এক প্রতিবেদনে দেখলাম তারা বলছে, আগামী ২০ বছরে ঢাকার তাপমাত্রা পাঁচ ডিগ্রি বেড়ে যাবে। এই অত্যধিক তাপমাত্রা হয়ে পড়বে শহরগুলোর জন্য বাড়তি সমস্যা।
গাছপালা কমে গেলে বৃষ্টিপাত কম হয়। অর্থাৎ পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য বৃক্ষরোপন অপরিহার্য। আমরা বৃক্ষরোপনের অভ্যাস রপ্ত করতে পারি শিশুকাল থেকেই। গ্রামে, বাড়ির উঠানে কিংবা আশেপাশে অনেক স্থানে গাছ লাগানো যায়।
শহুরে জীবনে গ্রামের মতো সুযোগ সুবিধা নেই। তাই আমরা চাইলেই ছাদে গাছ লাগাতে পারি। বারান্দায় শোভাবর্ধক গাছ খুব ভালো লাগে, সেখানে গাছ লাগাতে পারি। গাছের পরিচর্যা করলে দারুণ একটি সময় কাটে। আমার মনে হয়, মানসিক প্রশান্তিও পাওয়া যায় এতে।
মহামারির কারণে দীর্ঘ অবসর পেয়েছি আমরা। কেউ কেউ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি বা বিমর্ষ আছি। এই সবকিছুই দূর করে দিতে পারে গাছ। গাছ লাগিয়ে পরিচর্যা করলে আমাদের সময় ভালো কাটবে বলে মনে হয় আমার।
গাছ আমাদের পরম বন্ধু। আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা হয়ত পৃথিবীকে বদলে দিতে বড় ভূমিকা পালন করবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য পুরো বিশ্বই চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিশ্ব নেতাদের নিয়ে জাতিসংঘে নিয়মিত সম্মেলন হচ্ছে এটা নিয়ে। আমার মনে হয় গাছ লাগিয়ে পরিবেশকে দিতে পারি তার আপন রুপ।
প্রতি বছর ৫ জুন পালিত হয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস। পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।