তিনি আধুনিক নার্সিংয়ের অগ্রদূত, পরিসংখ্যানবিদ ও লেখক। ইতিহাসে যত মহীয়সী নারী রয়েছেন তাদের মধ্যে ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল অন্যতম।
১৮২০ সালের ১২ মে ইতালীর ফ্লোরেন্স শহরে তার জন্ম। শহরের নামের সঙ্গে মিল রেখে ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল নাম রাখেন তার বাবা।
জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানবতার সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ফ্লোরেন্স। দিনরাত অকাতরে তিনি সেবা করে গেছেন। ক্রিমিয়ার যুদ্ধে আহত সৈন্যদের পরিচর্যার মাধ্যমে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।
দীর্ঘকাল ধরে ইউরোপের আধিপত্য নিয়ে রাশিয়ার সাথে দ্বন্দ চলছিল ফ্রান্স, ব্রিটেন ও কিংডম অব সার্ডিনিয়ার। ১৮৫৩ সালে সেই দ্বন্দই যুদ্ধে রূপ নেয় যা ইতিহাসে ক্রিমিয়ার যুদ্ধ নামে পরিচিত।
যুদ্ধের পর ফ্লোরেন্স বহু দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তার নাম দেওয়া হয় ‘দ্য লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প’।
ফ্লোরেন্সের বাবা ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু ফ্লোরেন্স তার জীবন কাটিয়েছেন সাধারণ ভাবে, মানুষের সেবা-পরিচর্যার মধ্য দিয়ে।
তিনি নার্সিংয়ের ওপর অনেক বই লিখেছেন। ইংল্যান্ডের মানুষ তাকে সম্মান জানাতে তৎকালীন সময়ে ৫০ হাজার পাউন্ড অর্থ উপহার দেন। যা তিনি নার্সিং শিক্ষা বিকাশে ব্যয় করেন।
ফ্লোরেন্সের জীবনী দ্বারা মানুষকে প্রভাবিত করতে ১৯১২, ১৯১৫, ১৯৩৬ ও ১৯৫১ সালে চারটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।
এ মহান ব্যক্তিত্ব ১৯১০ সালের ১৩ অগাস্ট লন্ডনের বাড়িতে মারা যান।