কিন্তু এখন বছরের প্রায় ছয়-সাত মাস, বিশেষ করে অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এর কিছু অংশ ছাড়া বাকিটা জলশূন্যই থেকে যায়।
মাছ, বালি, নুড়ি, পাথরসহ নানান সম্পদে পরিপূর্ণ এ নদী নেত্রকোণা জেলার সুসং দুর্গাপুরের প্রাণ। কিন্তু এ নদী হতে অনিয়ন্ত্রিত সম্পদ আহরণ এ অঞ্চলের জীবন, জীবিকা ও পরিবেশের জন্য হুমকি হতে পারে বলে আমার মনে হয়।
নেত্রকোণা জেলার এ নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হয় প্রতিদিন। রোজই শতাধিক ট্রাক যাতায়াত করছে এ অঞ্চলে।
এতে দুর্গাপুরে অর্থনৈতিক কর্মচাঞ্চল্য বাড়লে বালি উত্তোলন এ অঞ্চলের অবকাঠামো, জীবন ও পরিবেশের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠছে না তো?
স্বচ্ছ পানি আর খরস্রোতা এ নদীর নিজস্ব বৈশিষ্ট রক্ষা করা জরুরী। মানুষের স্বার্থেই এ নদী প্রবাহিত হোক তার নিজের নিয়মে।
এখানেই কথা হলো মঞ্জুর (৪৫) নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে।
তিনি বললেন, “সোমেশ্বরী নদী এ অঞ্চলের সোনার খনি, এর পানিটাও বিক্রি হয়। মানুষ যদি বাঁইচা থাকতে চায় তাহলে এই নদীও বাঁচায় রাখন লাগব।”
দেশের উন্নয়নেও এ নদীর অবদান কম নয়। তাছাড়া সোমেশ্বরী নদীর উপর নির্ভর করে আছে দুর্গাপুরবাসীর জীবন ও জীবিকা। নদী বাঁচলেই বাঁচবে দুর্গাপুর।